বাংলাবাজার ঘাটে হাজারো যাত্রী নিয়ে বিলাসবহুল সব লঞ্চ
![বাংলাবাজার ঘাটে হাজারো যাত্রী নিয়ে বিলাসবহুল সব লঞ্চ](https://cdn.jagonews24.com/media/imgAllNew/BG/2019November/laln-1-20220625105302.jpg)
দেশের দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে বিলাসবহুল লঞ্চ এসে ভিড়ছে শিবচরের বাংলাবাজার ঘাটে। শনিবার (২৫ জুন) সকাল সাড়ে ৮টায় ঘাটে এসে ভেড়ে পটুয়াখালী থেকে প্রিন্স আওলাদ নামের একটি বিলাসবহুল লঞ্চ।
লঞ্চ জনসমাবেশের ঘাটে ভিড়তেই শত শত যাত্রীদের স্লোগান-উল্লাস। স্বতঃস্ফুর্তভাবে সাধারণ মানুষ আসছে সমাবেশ স্থলের দিকে।
সরেজমিনে বাংলাবাজার ঘাট ঘুরে দেখা গেছে, সড়ক পথের পাশাপাশি ভোর থেকেই লঞ্চ এসে ভিড়ছে ঘাটে। দূরপাল্লার বড় বড় লঞ্চ এবং মাদারীপুর, ফরিদপুরের আড়িয়াল খাঁ নদী তীরবর্তী এলাকা থেকেও ছোট ছোট অসংখ্য লঞ্চ এসে ভিড়ছে বাংলাবাজার ঘাটে।
বিআইডব্লিউটিএর পক্ষ থেকে নতুন অস্থায়ী ১৫টিসহ মোট ২০টি লঞ্চঘাট রয়েছে ঘাটে। সময় গড়াচ্ছে আর একের পর এক লঞ্চ এসে ভিড়ছে ঘাটে। ইতোমধ্যে পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, বরিশাল থেকে সুন্দরবন ৯, এমভি জামাল, প্রিন্স আওলাদসহ অনেকগুলো বিলাশবহুল লঞ্চ এসে ঘাটে ভিড়েছে। লঞ্চগুলো ঘাটে ভেড়ার পরে আবার নদীর মধ্যে নোঙর করে রাখছে।
প্রিন্স আওলাদ লঞ্চে আসা দর্শনার্থীরা বলেন, পদ্মাসেতু উদ্বোধন হচ্ছে। এই শুভদিনকে স্মরণীয় করে রাখতে আমাদের নানা আয়োজন। আমরা খুবই খুশি।
সমাবেশে আসা দক্ষিণাঞ্চলের মানুষেরা জাগো নিউজকে বলেন, উৎসব বইছে। অসংখ্য লঞ্চ আসছে ঘাটে। ইতিহাস হয়ে থাকবে।
ঘাটে দায়িত্বরত ডিএসবির একাধিক ব্যক্তি জাগো নিউজকে জানান, লঞ্চ থেকে সমাবেশে আসা লোকজনকে নামানোর পর লঞ্চগুলো নদীর মাঝে নোঙর করে রাখছে। সাধারণ মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে নেমে সমাবেশে যেতে পারে সেই বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।
শনিবার (২৫ জুন) উদ্বোধন করা হবে বহুল প্রত্যাশিত পদ্মা সেতুর সড়ক পথ। পরেরদিন ভোর ৬টা থেকে যানচলাচল শুরু হবে।
২০০১ সালের ৪ জুলাই স্বপ্নের পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১৪ সালের নভেম্বরে নির্মাণকাজ শুরু হয়। দুই স্তরবিশিষ্ট স্টিল ও কংক্রিট নির্মিত ট্রাসের এ সেতুর ওপরের স্তরে চার লেনের সড়ক পথ এবং নিচের স্তরে একটি একক রেলপথ রয়েছে।
পদ্মা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা নদীর অববাহিকায় ৪২টি পিলার ও ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪১টি স্প্যানের মাধ্যমে মূল অবকাঠামো তৈরি করা হয়। সেতুটির দৈর্ঘ্য ৬.১৫০ কিলোমিটার এবং প্রস্থ ১৮.১০ মিটার।
পদ্মা সেতু নির্মাণে খরচ হয়েছে ৩০ হাজার কোটি টাকা। এসব খরচের মধ্যে রয়েছে সেতুর অবকাঠামো তৈরি, নদী শাসন, সংযোগ সড়ক, ভূমি অধিগ্রহণ, পুনর্বাসন ও পরিবেশ, বেতন-ভাতা ইত্যাদি।
বাংলাদেশের অর্থ বিভাগের সঙ্গে সেতু বিভাগের চুক্তি অনুযায়ী, সেতু নির্মাণে ২৯ হাজার ৮৯৩ কোটি টাকা ঋণ দেয় সরকার। ১ শতাংশ সুদ হারে ৩৫ বছরের মধ্যে সেটি পরিশোধ করবে সেতু কর্তৃপক্ষ।
৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার স্বপ্নের কাঠামো নির্মাণের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড।
এফএ/এএসএম