মঞ্চের বাইরেও উৎসবের আমেজ

জাগো নিউজ টিম জাগো নিউজ টিম মুন্সিগঞ্জ থেকে
প্রকাশিত: ১২:২৬ পিএম, ২৫ জুন ২০২২
মঞ্চের বাইরে থেকে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন দেখছেন তারা

উদ্বোধন হয়েছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। শনিবার (২৫ জুন) বেলা ১১টা ৫৮ মিনিটে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে মঞ্চের বাইরে উৎসবের আমেজ লক্ষ্য করা গেছে। এ সময় অনেকের মোবাইলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যও শুনতে দেখা যায়।

নিরাপত্তার স্বার্থে সাধারণ মানুষদের পদ্মা সেতুর উদ্বোধন মঞ্চে যেতে দেওয়া হয়নি। এ সময় সবাইকে যার যার স্থান থেকে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠান দেখতে দেখা গেছে। সব মিলিয়ে সবার মধ্যে অন্যরকম আনন্দ লক্ষ্য করা গেছে।

যশোর থেকে আসা রাসেল নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘পদ্মা সেতু আমাদের দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন ছিল। আগে অনেক কষ্ট করে যাতায়াত করতে হতো। এখন আর সে কষ্ট থাকছে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের জন্য পদ্মা সেতু নির্মাণ করে সেই কষ্ট দূর করে দিয়েছেন। আনন্দে নিজেকে ধরে রাখতে পারিনি। তাই একদিন আগেই যশোর থেকে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন দেখতে মাওয়া চলে এসেছি।’

mu-(2).jpg

রিয়াজুল হাসান নামে কুমিল্লা থেকে আসা আরেক দর্শনার্থী বলেন, ‘এখন আর আগের মতো কষ্ট করতে হবে না। আগে কুমিল্লা থেকে শরীয়তপুর যেতে অনেক সময় লেগে যেত। পদ্মা সেতু হওয়ায় এখন তার অর্ধেক সময়ই চলে আসতে পারবো।’

বহুল প্রত্যাশিত পদ্মা সেতুর সড়কপথ রোববার (২৬ জুন) ভোর ৬টা থেকে সব ধরনের যান চলাচল শুরু হবে।

২০০১ সালের ৪ জুলাই স্বপ্নের পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১৪ সালের নভেম্বরে নির্মাণকাজ শুরু হয়। দুই স্তরবিশিষ্ট স্টিল ও কংক্রিট নির্মিত এ সেতুর ওপরের স্তরে চার লেনের সড়কপথ এবং নিচের স্তরে একটি একক রেলপথ রয়েছে।

পদ্মা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা নদীর অববাহিকায় ৪২টি পিলার ও ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪১টি স্প্যানের মাধ্যমে মূল অবকাঠামো তৈরি করা হয়। সেতুটির দৈর্ঘ্য ৬.১৫০ কিলোমিটার এবং প্রস্থ ১৮.১০ মিটার।

mu-(2).jpg

পদ্মা সেতু নির্মাণে খরচ হয়েছে ৩০ হাজার কোটি টাকা। এসব খরচের মধ্যে রয়েছে সেতুর অবকাঠামো তৈরি, নদী শাসন, সংযোগ সড়ক, ভূমি অধিগ্রহণ, পুনর্বাসন ও পরিবেশ, বেতন-ভাতা।

বাংলাদেশের অর্থ বিভাগের সঙ্গে সেতু বিভাগের চুক্তি অনুযায়ী, সেতু নির্মাণে ২৯ হাজার ৮৯৩ কোটি টাকা ঋণ দেয় সরকার। ১ শতাংশ সুদ হারে ৩৫ বছরের মধ্যে সেটি পরিশোধ করবে সেতু কর্তৃপক্ষ।

৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার স্বপ্নের কাঠামো নির্মাণের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড।

আরাফাত রায়হান সাকিব/মোবাশ্বির শ্রাবণ/রাশেদুল ইসলাম রাজু/এসজে/এমএস

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।