মিরসরাইয়ে ড্রেজারডুবি

নিখোঁজ সবার বাড়ি পটুয়াখালী, চলছে শোকের মাতম

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি পটুয়াখালী
প্রকাশিত: ০৮:৫২ পিএম, ২৫ অক্টোবর ২০২২

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে সাগরে ড্রেজারডুবিতে নিখোঁজ আট শ্রমিকের বাড়ি পটুয়াখালী সদর উপজেলায়। ২২ ঘণ্টায়ও উদ্ধার না হওয়ায় তাদের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। জীবিত না হলে অন্তত মরদেহ পাওয়ার অপেক্ষায় স্বজনরা।

নিখোঁজ আট শ্রমিক হলেন- সদর উপজেলার চর জৈনকাঠি গ্রামের মোল্লা বাড়ির আ. রহমানের ছেলে মো. তারেক মোল্লা, আনিচ মোল্লার দুই ছেলে শাহীন মোল্লা ও ইমাম মোল্লা, আ. হক মোল্লার ছেলে মাহমুদ মোল্লা, ইউসুফ হাওলাদারের ছেলে মো. বসার হাওলাদার, নুরু সর্দারের ছেলে আলম সর্দার, সেকান্দার বারির ছেলে জাহিদ বারি এবং ফকির বাড়ির রহমান ফকিরের ছেলে আল-আমিন ফকির।

সোমবার (২৪ অক্টোবর) রাত ১০টার দিকে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কবলে পড়ে সাগরে ড্রেজার ডুবে নিখোঁজ হন তারা। বাড়িতে নিখোঁজের খবর পৌঁছাতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন স্বজনরা।

মঙ্গলবার বিকেলে নিখোঁজদের বাড়ি গিয়ে দেখা যায়, শোকের মাতম চলছে। কেউ সংসারের উপার্জনক্ষম একমাত্র ব্যক্তিকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন। আবার কেউ স্বামীকে হারানোর সংবাদে আহাজারি করছেন। আবার নিখোঁজ সন্তানের চিন্তায় বাবা-মায়ের আর্তনাদে ভারী হয়ে পড়েছে গ্রামের বাতাস। বাবা হারানো সন্তানদের সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষাও খুঁজে পাচ্ছেন না প্রতিবেশীরা। ভবিষ্যতের চিন্তায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে দরিদ্র পরিবারগুলো।

শাহিন মোল্লা স্ত্রী খাদিজা বেগম। স্বামীকে হারিয়ে তিনি পাগলপ্রায়। কাঁদছেন আর বলছেন, ‘চার সন্তানকে কে দেখবে, কে খাওয়াবে?’

নিখোঁজ দুই শ্রমিকের বাবা আনিচ মোল্লা বলেন, ‘আমাদের বাড়ির চার ছেলে নিখোঁজ। এর মধ্যে আমার দুই ছেলে। ওরা গত এক মাস আগে ড্রেজারে চুক্তিতে কাজ করতে গেছে। সোমবার যখন ঝড় শুরু হয় তহন আমাগো লগে ফোন দিয়া কথা কইছে। এর কতক্ষণ পর হইতে ফোন বন্ধ। আমি কিছু চাইনা আমার পোলা দুইডার লাশ চাই, আমার পুত আমার কাছে ফিরাইয়া দেন।’

নিখোঁজ শ্রমিক তারেক মোল্লার বাবা আব্দুর রহমান বলেন, ‘আমার বুকটা খালি হইয়া গেছে। কে খাওয়াইবে আমাগো। ঘরের একমাত্র ইনকাম করতে আমাগো তারেক। তার লাশটা দেন আইন্না।’

আব্দুস সালাম আরিফ/এসজে/এএসএম

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।