ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং

খোঁজ মেলেনি লক্ষ্মীপুরের তিন জেলের

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি লক্ষ্মীপুর
প্রকাশিত: ০৮:৪৯ এএম, ২৭ অক্টোবর ২০২২

মেঘনা নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে ঘূর্ণিঝড়ে নৌকাডুবে নিখোঁজ লক্ষ্মীপুরের তিন জেলের সন্ধান এখনো মেলেনি। তাদের ফিরে পেতে দুই দিন ধরে নদীর তীরে স্বজনরা মাইকিং করছেন। সম্ভাব্যস্থানেও তাদের খুঁজে বেড়াচ্ছেন। বুধবার (২৬ অক্টোবর) সন্ধ্যা পর্যন্ত তাদের কোনো খোঁজ মেলেনি।

নিখোঁজরা হলেন- লিটন বেপারী, শিপন বেপারী ও সুজন সরদার। লিটন রায়পুর উপজেলার চরকাছিয়া গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে, শিপন আবদুর রব বেপারীর ছেলে ও সুজন রব সরদারের ছেলে। এর মধ্যে লিটনের বাবা আবুল কাশেম ছেলে নিখোঁজের ঘটনায় বুধবার রায়পুর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সোমবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় উপজেলার দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের চরকাছিয়া এলাকা থেকে ১০ জেলে নৌকা নিয়ে কমলনগর এলাকার মেঘনা নদীতে মাছ শিকারে যান। রাতে ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়ে নৌকাডুবে তারা নদীতে পড়ে যান। এরমধ্যে সাতজন কমলনগর উপজেলার মতিরহাট এলাকায় কূলে উঠতে পারলেও তিনজনকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। উদ্ধার হওয়া জেলেরা হলেন- রাসেল বেপারী, রাশেদ বেপারী, রাসেল হাওলাদার, বাচ্চু বেপারী, জুনু মোল্লা, মো. হাসান ও মো. জুয়েল। তারা চরকাছিয়া গ্রামের বাসিন্দা।

জেলে রাসেল হাওলাদার জানিয়েছেন, তারা রাসেল বেপারীর নৌকায় কাজ করেন। মেঘনায় মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞার পরেও উত্তাল নদীতে মাছ বেশি পাওয়ার আশায় দুই নৌকাতে তারা ১০ জন মাছ ধরতে যান। নদীর কমলনগর এলাকায় তাদের নৌকা ছিল। ঝড়ের সময় ঢেউয়ের সঙ্গে তাদের একটি নৌকার তলা ফেটে যায়। এতে নৌকাটি অন্যটির সঙ্গে বাঁধা হয়। কিছুক্ষণ পরই তাদের নৌকাটি উল্টে ডুবে তারা নদীতে পড়ে যান। একপর্যায়ে ভেসে তারা সাতজন কমলনগরের মতিরহাট এলাকায় কূলে ওঠেন। কিন্তু বাকি তিনজনকে কোথাও পাওয়া যায়নি।

নিখোঁজ জেলে লিটন বেপারীর স্ত্রী মারুফা বেগম জানিয়েছেন, তিনি স্বামীকে সুস্থ অবস্থায় ফিরে পেতে চান। দুই সন্তান তাদের বাবার জন্য পথ চেয়ে আছে।

নৌকার মালিক রাসেল বেপারীর বাবা আবদুল খালেক জানিয়েছেন, নিখোঁজ জেলেদের সন্ধান পেতে তারা চেষ্টা করছেন। নৌকা নিয়ে নদীর বিভিন্ন এলাকায় তাদের খোঁজা হচ্ছে, তীরে মাইকিংও করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিপন বড়ুয়া বলেন, জেলে নিখোঁজের ঘটনায় থানায় একটি জিডি হয়েছে। তাদের সন্ধান পেতে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।

কাজল কায়েস/এমআরআর/এএসএম

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।