ঘূর্ণিঝড় রিমাল
জোয়ারের পানিতে পিরোজপুর প্লাবিত, বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি পিরোজপুর
প্রকাশিত: ০৩:৩৯ পিএম, ২৭ মে ২০২৪
![জোয়ারের পানিতে পিরোজপুর প্লাবিত, বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন](https://cdn.jagonews24.com/media/imgAllNew/BG/2023March/piroj-20240527153930.jpg)
ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে জোয়ারে পানিতে পিরোজপুরের বিভিন্ন উপজেলা প্লাবিত হয়েছে। কোনো কোনো জায়গায় পানির উচ্চতা চার ফুট পর্যন্ত বেড়েছে।এতে শঙ্কায় আছেন স্থানীয়রা। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে বেশিরভাগ এলাকা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পিরোজপুর সদর উপজেলার নামাজপুর, ভাইজোড়া, শারিকতলা, পাড়েরহাটসহ কাউখালী, ইন্দুরকানী, ভান্ডারিয়া, মঠবাড়িয়া, নাজিরপুর ও নেছারাবাদসহ জেলার সব উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় জোয়ারের পানি ঢুকেছে। এতে বেশিরভাগ ঘরবাড়ি পানিতে প্লাবিত হয়েছে।
নাজিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম নুরে আলম সিদ্দিকী শাহিন বলেন, উপজেলা সদরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও স্টেডিয়ামসহ বিভিন্ন হাটবাজার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। মানুষজন ঘর থেকে বের হতে পারছেন না। পানিতে ভেসে গেছে মাছের ঘের। এসব এলাকার শাকসবজিসহ নানা ফসলের জমি পানিতে তলিয়ে গেছে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম আজহারুল ইসলাম বলেন, জোয়ারের পানিতে বেশিরভাগ ঘের প্লাবিত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান জানান, ঘূর্ণিঝড় রিমাল মোকাবিলায় পিরোজপুরে ৫৬১টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা রাখা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে দুই লাখ ৮০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিতে পারবেন। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি কন্ট্রোল রুমসহ প্রতিটি উপজেলায় একটি টিম করা হয়েছে। প্রস্তুত রয়েছে ৬৫টি মেডিকেল টিম। তবে আশ্রয়কেন্দ্রে মানুষের উপস্থিতি কম।
তিনি আরও জানান, জেলায় দুই লাখ ৬৩ হাজার পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, ১৩ লাখ ৫০ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার, ৬১১ টন চাল ও নগদ ছয় লাখ ১০ হাজার টাকা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। দুর্যোগ পরবর্তী ক্ষতিগ্রস্তদের ঘর মেরামতের জন্য ৯৭ বান টিন রয়েছে। এছাড়া প্রস্তুত আছেন রেড ক্রিসেন্টের ২৫০ স্বেচ্ছাসেবক ও সিপিপির দুই হাজার ৪২০ সদস্য।
এসআর/এমএস