কক্সবাজার

ঘূর্ণিঝড় রিমালের তীব্রতা দেখতে সৈকতে পর্যটকের ভিড়

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি কক্সবাজার
প্রকাশিত: ০৩:১২ পিএম, ২৬ মে ২০২৪

ঘূর্ণিঝড় রিমালের তীব্রতা দেখতে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ভিড় করছেন দর্শনার্থীরা। রোববার (২৬ মে) দুপুর থেকে সৈকতের লাবণী, সি-গার্ল, সুগন্ধা, ওশান বিচ ও কলাতলি পয়েন্টে শতশত মানুষ ভিড় করছেন। তাদের নিরাপদে অবস্থান করতে বিচকর্মী ও লাইফগার্ড কর্মীদের অনুরোধ করতে দেখা গেছে।

এর আগে শনিবার বিকেলে আবহাওয়া অধিদফতর সতর্কতা জারি করে, রিমাল ঘূর্ণিঝড় হতে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। দুপুর ১২টার পর থেকে সেভাবেই আচরণ শুরু করছে প্রকৃতি। বেড়েছে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ঢেউ এবং বাতাসের তীব্রতা। বিপদ বোঝাতে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে লাল পতাকা টাঙানো হয়েছে। নির্দেশনা না মেনে সৈকতে গোসলে নেমেছেন পর্যটকরা।

ঘূর্ণিঝড় রিমালের তীব্রতা দেখতে সৈকতে পর্যটকের ভিড়

সৈকতের কলাতলি, সুগন্ধা ও লাবণী পয়েন্ট ঘুরে দেখা গেছে, টানা কয়েক মাস তীব্র তাপপ্রবাহে ভোগা মানুষ একটু শীতলতার আশায় সৈকতে এসেছেন। পাশাপাশি অনেক পর্যটকও এসে তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন।

মানিকগঞ্জ থেকে আসা পর্যটক দম্পতি ইব্রাহিম সায়মন বলেন, শনিবার কক্সবাজার এসে বিকেলে জানতে পারি ঘূর্ণিঝড় ধেয়ে আসছে। তিনদিনের ছুটি পেয়ে পরিবার নিয়ে এসেছি। এখন চলেও যেতে পারছি না। আবার কবে আসবো নিশ্চয়তা নেই। তাই বৃষ্টি পেয়েই গোসলে নামতে এসেছি।

ঘূর্ণিঝড় রিমালের তীব্রতা দেখতে সৈকতে পর্যটকের ভিড়

স্থানীয় ওয়াহিদ রুবেল বলেন, কয়েকমাস চরম তাপপ্রবাহে জীবন ওষ্ঠাগত। দুপুর হতে একটু বৃষ্টির দেখা পেয়েছি। সঙ্গে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব কি হচ্ছে সেটি দেখতে এসেছি। তবে, সমুদ্রে নামছি না।

সৈকতে থাকা লাইফগার্ড রিফাত ইসলাম বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। অনেকে এক স্থানে বাঁধা দিলে অন্য স্থান দিয়ে নামছেন। বিপৎসংকেত বুঝাতে লাল পতাকা টাঙানো হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় রিমালের তীব্রতা দেখতে সৈকতে পর্যটকের ভিড়

আবহাওয়া অধিদপ্তরের ১১ নম্বর বুলেটিনে, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ৯ নম্বর মহাবিপৎসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া আকারে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিভীষণ কান্তি দাশ বলেন, জেলায় ৬৩৮টি সাইক্লোন শেল্টার খুলে দেওয়া হয়েছে। এ সময় মাঠে কাজ করছেন ৮ হাজার ৬০০ জন সিপিপি এবং দুই হাজার ২০০ জন রেডক্রিসেন্ট সদস্য।

সায়ীদ আলমগীর/আরএইচ/জিকেএস

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।