পরীমনিকে যেন কোনো কষ্ট দেয়া না হয় : সেফুদা
‘পরীমনি অনেক ভালো অভিনেত্রী’ দাবি করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বহুল আলোচিত অস্ট্রিয়া প্রবাসী সেফাত উল্লাহ সেফুদা বলেছেন, ‘তাকে যেন কোনো কষ্ট দেয়া না হয়।’
বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) বাংলাদেশ সময় দুপুরে ফেসবুক লাইভে এসে এসব কথা বলেন তিনি।
সেফুদা বলেন, ‘পরীমনি অনেক অসুস্থ। পরীমনি বুঝতে পারে নাই যে পুলিশ এসেছে। তাকে আগে অনেকেই থ্রেট করেছে। তাই সে মনে করেছে কোনো বাহিনী হয়তো এসেছে। সে তো থানায় টেলিফোন করেছে। থানার লোক বলতে পারতো, র্যাব গেছে। হারুন সাহেব বলেছেন, পুলিশ আসেনি, তুমি দরজা খুলো না। সি ওয়াজ মিসগাইডেড।’
সেফুদা আরও বলেন, ‘তার বাসায় কিছু লোক আছে, তারাও জানালা দিয়ে দেখতে পারত র্যাব আসছে কি না। বাইরে অনেক লোকজন ছিল। মিডিয়ার লোকজন ছিল। পুলিশের লোক ছিল। কিন্তু সিভিল ড্রেসে লোকজন দরজা ভেঙেছে।’
তিনি বলেন, ‘প্রথমে আমার কাছে মনে হয়েছে কোনো নাটক করছে নাকি, না সিনেমার কোনো দৃশ্য? পরে দেখলাম, না ঘটনা সত্যি। আমি মনে করেছিলাম রিয়েলি এটা কোনো নাটকের দৃশ্য। কারণ পরীমনি তো অনেক ভালো অভিনেত্রী। পরে দেখলাম, না! এটা সত্যি লাইভ।’
পরীমনি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমার আগের ভিডিও রেকর্ডগুলো দেখলে বুঝবেন, আমি তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেছি। এমনকি যেদিন তাকে অ্যারেস্ট করেছে সেদিনও আমি তাকে বকাবকি করেছি। তাকে অনেক হেদায়াত করেছি, তুমি যেভাবেই হোক টাকা-পয়সা কামাইছে। তোমার পার্সোনালিটি ডেভেলপ করো। তুমি এত বেশি ক্ষমতার উচ্চাকাঙ্ক্ষী কেন? তোমাকে ডিসিপ্লিনড হতে হবে। তোমাকে আরও বেশি পার্সোনালিটি ডেভেলপ করতে হবে।’
গতকাল (বুধবার) বিকেলে পরীমনির বনানীর বাসায় র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে অভিযানে যায় র্যাবের গোয়েন্দা দলের সদস্যরা। তাদের দেখে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লাইভ শুরু করেন পরীমনি। তিনি সেখানে অভিযোগ করেন, তার বাসায় ‘বিভিন্ন পোশাকে’ লোকজন এসে ফ্ল্যাটের দরজা খুলতে বলছেন। কিন্তু তিনি দরজা খুলতে ভয় পাচ্ছেন। এজন্য সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
প্রায় চার ঘণ্টার অভিযান শেষে রাত ৮টার দিকে তাকে আটক করে র্যাব সদরদফতরে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় তার বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মাদক জব্দ করার কথা জানায় র্যাব।
পরীমনি দীর্ঘদিন ধরে আলোচনায় রয়েছেন। কিছুদিন আগে ঢাকার সাভারের বোটক্লাবে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন অভিযোগ করে আলোচনায় আসেন তিনি। ওই ঘটনায় কয়েকজন গ্রেফতারও হয়েছিলেন, তারা আবার জামিনও পেয়েছেন। এর মধ্যেই আবার একাধিক ক্লাবে পরীমনির ভাঙচুরের অভিযোগ করেন সংশ্লিষ্টরা।
এইচএস/এমএইচআর/এএসএম