পরীমনির কস্টিউম ডিজাইনার জিমির বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ১৫ সেপ্টেম্বর
ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত নায়িকা পরীমনির কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ করিম জিমির বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১৫ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
শনিবার (৭ আগস্ট) ঢাকা মহানগর হাকিম মাসুদুর রহমান মামলার এজাহার গ্রহণ করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য এ দিন ধার্য করেন।
এদিন তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর বনানী থানায় মাদকদ্রব্য আইনে করা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মাসুদুর রহমান তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে শুক্রবার রাতে ইয়াবাসহ জিমিকে আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। আটকের পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হয়। এরপর বনানী থানায় তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
এর আগে বুধবার (৪ আগস্ট) সন্ধ্যায় রাজধানীর বনানীতে পরীমনির বাসায় প্রায় চার ঘণ্টার অভিযান শেষে তাকে আটক করে র্যাব। এ সময় তার বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়। পরদিন তার বিরুদ্ধে বনানী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়। ওই মামলায় তাকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করা হয়। আদালত শুনানি শেষে তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরীমনির মামলাটি পরে ডিবিতে স্থানান্তর করা হয়।
এদিকে, পরীমনির বাসায় মাদক সরবরাহ ও পর্নোগ্রাফি তৈরির অভিযোগে প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজকেও আটক করে র্যাব। তার বিরুদ্ধেও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়। এছাড়া তার বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি আইনেও আরেকটি মামলা করা হয়। পরে মাদক মামলায় আদালত রাজের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এরই মধ্যে শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর পান্থপথ থেকে নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে ডিবি পুলিশ। তাকে আটকের পর ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হয়। চার ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পরিবারের জিম্মায় তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
জেএ/এআরএ/এমএস
