রিমান্ড নামঞ্জুর, কারাগারে পরীমনির কস্টিউম ডিজাইনার জিমি

ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত নায়িকা পরীমনির কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ করিম জিমির রিমান্ড ও জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (১১ আগস্ট) বনানী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় তিন দিনের রিমান্ড শেষে তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে আবারও পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করে সিআইডি।
অপরদিকে তার আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম বাকী বিল্লাহ তার রিমান্ড ও জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে শনিবার (৭ আগস্ট) তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর বনানী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মাসুদুর রহমান তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে শুক্রবার রাতে ইয়াবাসহ জিমিকে আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। আটকের পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হয়। এরপর বনানী থানায় তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
এর আগে বুধবার (৪ আগস্ট) সন্ধ্যায় রাজধানীর বনানীতে পরীমনির বাসায় প্রায় চার ঘণ্টার অভিযান শেষে তাকে আটক করে র্যাব। এ সময় তার বাসা থেকে বিভিন্ন মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়। পরদিন তার বিরুদ্ধে বনানী থানায় মাদক আইনে মামলা করা হয়। ওই মামলায় তাকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালত শুনানি শেষে তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরীমনির মামলাটি পরে ডিবিতে স্থানান্তর করা হয়।
এদিকে, পরীমনির বাসায় মাদক সরবরাহ ও পর্নোগ্রাফি তৈরির অভিযোগে প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজকেও আটক করে র্যাব। তার বিরুদ্ধেও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি আইনেও আরেকটি মামলা করা হয়। পরে মাদক মামলায় আদালত রাজের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
জেএ/জেএইচ/এআরএ/এএসএম