সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: শেখ হাসিনা বার্নে ভর্তি আরও চারজন
![সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: শেখ হাসিনা বার্নে ভর্তি আরও চারজন](https://cdn.jagonews24.com/media/imgAllNew/BG/2019November/sheak-20220605184943.jpg)
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধদের মধ্যে আরও চারজনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
তারা হলেন মো. আমিন (৩২), মো. ময়নুল হক (৪০), মো. রাসেল (৩৯) ও মো. ফারুক হোসেন (৪৫)। তাদের মধ্যে আমিন ও ময়নুল হকের শরীরের ১৮ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।
রোববার (৫ জুন) বিকেলে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা এ তথ্য জানিয়েছেন।
তারা জানান, সীতাকুণ্ডে বিএম ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও দুজনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। এর আগে দগ্ধ হয়ে সীতাকুণ্ড থেকে আসা পুলিশের উপ-পরিদর্শকসহ (এসআই) তিনজনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
দগ্ধরা হলেন মো. খালেদুর রহমান (৫৮), এ কে এম মাকফারুল ইসলাম (৬৫) ও এসআই কামরুল হাসান (৩৭)। তাদের মধ্যে খালেদুর ও মাকফারুল ইসলামের শরীরের ১২ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। এছাড়া এসআই কামরুল হাসানের শরীরের ৪ শতাংশ দগ্ধ রয়েছে। এ নিয়ে সীতাকুণ্ডে বিএম ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধদের মধ্যে সাতজন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি রয়েছেন।
এর আগে শনিবার (৪ জুন) রাতে সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগে। ডিপোর কনটেইনারে কেমিক্যালজাতীয় দাহ্য পদার্থ থাকায় বিস্ফোরণ শুরু হয়। ফলে দ্রুত পুরো ডিপোতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে প্রথমে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট পৌঁছে। পরে আরও আটটি ইউনিট সেখানে যোগ দেয়। তবে বিস্ফোরণের কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পোহাতে হয় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের।
এদিকে, বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনায় এ পর্যন্ত অর্ধশত মানুষ মারা গেছে। তাদের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের আটজন কর্মীও রয়েছেন। আগুনে আহত হয়েছেন আরও চার শতাধিক। দগ্ধদের মধ্যে ডিপোর শ্রমিক, স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরাও রয়েছেন।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিএম কনটেইনার ডিপোতে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। সেখানে একের পর এক কনটেইনার বিস্ফোরণ হচ্ছে। জ্বলছে আগুনের লেলিহান শিখা। নিরাপদ দূরত্বে থেকে আগুন নিয়ন্ত্রণের সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা। ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে যোগ দিয়েছে সেনাবাহিনীর একটি টিমও।
কাজী আল-আমিন/এমএএইচ/জিকেএস