৩৬ ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি আগুন, কনটেইনার থেকে বেরোচ্ছে ধোঁয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক সীতাকুণ্ড থেকে
প্রকাশিত: ১১:৩৫ এএম, ০৬ জুন ২০২২
পোড়া কনটেইনার থেকে বেরোচ্ছে ধোঁয়া, সোমবার সকালের ছবি

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগার ৩৬ ঘণ্টা পার হলেও তা নিয়ন্ত্রণে আসেনি। এখনো বেশ কয়েকটি কনটেইনার দাউ দাউ করে জ্বলছে। ধোঁয়া বোরোচ্ছে অর্ধশতাধিক কনটেইনার থেকে।

ফায়ার সার্ভিস বলছে, জ্বলন্ত কনটেইনারগুলোর পাশে একটি কনটেইনারে কেমিক্যাল থাকতে পারে। এ কারণে সতর্কতার সঙ্গে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন তারা। তাদের মূল লক্ষ্য এখন কেমিক্যাল কনটেইনারটি নিয়ন্ত্রণে আনা।

সোমবার (৬ জুন) বেলা ১১টা পর্যন্ত ডিপোর ভেতরে আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিস কাজ করছে বলে জানিয়েছেন আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মো. ফখরুদ্দিন।

তিনি বলেন, দীর্ঘক্ষণ পার হওয়ার পরেও আগুন নিয়ন্ত্রণে না আসার কারণ হলো কেমিক্যাল। এখনো একটি কেমিক্যালযুক্ত কনটেইনার জ্বলছে। আগুন কখন নাগাদ নেভে তা সময় ধরে বলা কঠিন।

সরেজমিনে দেখা যায়, ডিপোর পশ্চিম পাশে কয়েকটি কনটেইনারে আগুন জ্বলছে। দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকা আগুনের ওপর ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা পানি ছেটাচ্ছেন। এছাড়া অর্ধশতাধিক কনটেইনার থেকে এখনো ধোঁয়া উড়ছে। এছাড়া পুরো এলাকা আগুনে পুড়ে ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে।

সীতুকুণ্ডের ওই ডিপোর আগুন নেভাতে সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা একযোগে কাজ করছেন। ঘটনাস্থলে যৌথভাবে কাজ করছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন, সীতাকুণ্ড উপজেলা প্রশাসন, র্যাব, সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, রেড ক্রিসেন্ট, সিপিপি ও স্থানীয় বিভিন্ন সামাজিক ও মানবাধিকার সংগঠনের কর্মীরা।

শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সীতাকুণ্ডের চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপোতে আগুন লাগে। আগুন লাগার পর রাসায়নিকের কন্টেইনারে একের পর এক বিকট বিস্ফোরণ ঘটতে থাকলে বহু দূর পর্যন্ত কেঁপে ওঠে। অগ্নিকাণ্ড ও ভয়াবহ বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৯ জন হয়েছে। তবে জেলা প্রশাসনের তথ্য মতে মৃতের সংখ্যা ৪৬ জন। দগ্ধ ও আহত ১৬৩ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রাতেই শনাক্ত হওয়া নিহতদের পরিবারে জেলা প্রশাসনের সহায়তার টাকা হস্তান্তর হয়েছে।

চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মো. ইলিয়াস হোসেন চৌধুরী জানান, নিহতদের মধ্যে ডিপোর শ্রমিকদের পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিসের ৯ সদস্যও রয়েছেন। হাসপাতালে ভর্তি অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে।

টিটি/এমএইচআর/জেআইএম

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।