শেখ হাসিনা বার্নে ভর্তি ১৫ জন, আশঙ্কাজনক ৪

ঢামেক প্রতিবেদক
ঢামেক প্রতিবেদক ঢামেক প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:০৫ পিএম, ০৬ জুন ২০২২
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণে দগ্ধ ১৬ জনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আনা হয়েছে। তাদের মধ্যে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। পরে সেখান থেকে একজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

সোমবার (৬ জুন) পর্যন্ত শেখ হাসিনা বার্নে যাদের আনা হয়েছে তারা হলেন- ফায়ার ফাইটার মো. গাউসুল আজম (২২) ও মো. রবিন মিয়া (২২), মো. মাসুম মিয়া (৩৪), মো. ফরমানুল ইসলাম (৩০), মো. রুবেল মিয়া (৩৪), মো. ফারুক হোসেন (১৬), মো. হোসেন মহিবুল্লাহ (২৭), মো. আমিন (৩২), মো. মইনুল হক (৪০), মো. রাসেল (৩৯), মো. ফারুক হোসেন (৪৫), মো. খালেদুর রহমান (৫৮), এ. কে. এম. মাকফারুল ইসলাম (৬৫), এস আই কামরুল ইসলাম (৩৭), মো. নজরুল মন্ডল (৩৮), মো. সজীব মিয়া (৩৫)।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. আইউব হোসেন বলেন, আমাদের এখানে ১৬ জনকে আনা হয়েছে। তাদের চারজন নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন। তারা হলেন- ফায়ার ফাইটার মো. রবিন। তার শরীরের ৬০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। ফায়ার ফাইটার গাউসুল আজম। তার শরীরের ৮০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। বাকি দুজনের মধ্যে ফরমানুল ইসলামের শরীরের ৩০ শতাংশ ও এ. কে. এম. মাকফারুল ইসলামের শরীরের ১২ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।

বাকি ১১ জনকে পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের শরীরের ৪ শতাংশ থেকে শুরু করে ২০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তাদের শ্বাসনালী পুড়ে যাওয়ায় তারাও শঙ্কামুক্ত নন বলে জানান তিনি। আর মো. রাসেল নামের একজনকে ঢামেক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

শনিবার (৪ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগে। আগুন লাগার পর রাসায়নিকের কনটেইনারে একের পর এক বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটতে থাকলে বহু দূর পর্যন্ত কেঁপে ওঠে।

অগ্নিকাণ্ড ও ভয়াবহ এ বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৯ জনে দাঁড়িয়েছে। তবে জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, মৃতের সংখ্যা ৪৬ জন। দগ্ধ ও আহত ১৬৩ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রাতেই শনাক্ত হওয়া নিহতদের জেলা প্রশাসনের সহায়তায় পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মো. ইলিয়াস হোসেন চৌধুরী জানান, নিহতদের মধ্যে ডিপোর শ্রমিকদের পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিসের ৯ সদস্যও রয়েছেন। হাসপাতালে ভর্তি অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে।

কাজী আল-আমিন/ইএ/এএসএম

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।