ক্রাইস্টচার্চে নিহত বাংলাদেশি আবদুস সামাদের স্ত্রী বেঁচে আছেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:০৭ পিএম, ১৬ মার্চ ২০১৯

নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে বন্দুকধারীর হামলায় দুই বাংলাদেশিসহ ৪৯ জন নিহত হয়েছেন। ওই হামলার পর বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা তিন বাংলাদেশির মৃত্যুর খবর জানালেও পরে জানানো হয়েছে যে, মৃতের সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছিল। খবর বিবিসি।

নিউজিল্যান্ডের দূতাবাসের অনারারি কনসাল শফিকুর রহমান ভুঁইয়া শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক ড. আবদুস সামাদের স্ত্রী জীবিত আছেন এবং নিউজিল্যান্ডে তাদের বাড়িতেই অবস্থান করছেন। আবদুস সামাদের ছেলে তারেক দূতাবাসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মসজিদে হামলার ঘটনায় নিহত বাংলাদেশির সংখ্যা দুইজন বলে উল্লেখ করেছেন শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, নিহতের সংখ্যা নিয়ে প্রথম দিকে বিভ্রান্তি দেখা দিলেও এটা একটা ভালো দিক যে একজন জীবিত আছেন।

হামলার পর আবদুস সামাদের স্ত্রী নিখোঁজ ছিলেন। তাই তাকে মৃত হিসেবেই বিবেচনা করা হয়েছিল। পরে তার পরিবার দূতাবাসকে জানায় যে, তার খোঁজ পাওয়া গেছে এবং তিনি সুস্থ আছেন।

ড. আবদুস সামাদ ক্রাইস্টচার্চের স্থানীয় লিঙ্কন বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক ছিলেন। এর আগে তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন।

আরেকজনে পরিচয় সম্পর্কে শফিকুর রহমান বলেন, নিহত হোসনে আরা ফরিদ গৃহবধূ ছিলেন। মসজিদে হামলার ঘটনায় অন্তত পাঁচজন বাংলাদেশি আহত হয়েছেন বলে বাংলাদেশ দূতাবাসের তরফ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে।

আহতদের মধ্যে দু'জনের অবস্থা গুরুতর। এছাড়া এখনও একজন নিখোঁজ রয়েছেন বলে কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন। শফিকুর রহমান বলেছেন, নিহতদের মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনতে দূতাবাসের পক্ষ থকে যত ধরনের লজিস্টিক সাপোর্ট প্রয়োজন তারা দেবেন।

তিনি স্থানীয় সময় শনিবার সকালে ক্রাইস্টচার্চে পৌঁছেছেন। দূতাবাস বলছে, যে কোন তথ্য বা সাহায্যের জন্য ক্যানবেরায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে যোগাযোগ করা যাবে।

জরুরি যোগাযোগের জন্য যে দু'টি নম্বরে ফোন করা যাবে, সেগুলো হলো +৬১ ৪২৪ ৪৭২৫৪৪ এবং +৬১ ৪৫০১ ৭৩০৩৫।

টিটিএন/এমএস

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।