আয় ও অস্থাবর সম্পত্তি কমেছে মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রীর

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি গাজীপুর
প্রকাশিত: ০৬:৩৯ পিএম, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাজীপুর-১ আসনে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আ ক ম মোজাম্মেল হক। ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে এ আসন থেকে নির্বাচিত হন তিনি।

সোমবার (৪ ডিসেম্বর) যাচাই-বাছাইয়ে তার মনোনয়ন বৈধতা পেয়েছে। নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে দেওয়া হলফনামা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, আয় ও অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ কমেছে মন্ত্রীর। পাশাপাশি বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স কর্পোরেশন থেকে আবাসিক ঋণ গ্রহণ করেছেন ৯৮ লাখ ৯৮ হাজার ৯২০ টাকার।

২০১৮ সালে নির্বাচনী হলফনামায় অ্যাডভোকেট আ ক ম মোজাম্মেল হক উল্লেখ করেছিলেন, কৃষিখাতে আয় এক লাখ ৮৬ হাজার টাকা, ভাড়া বাবদ আয় ৩৬ হাজার টাকা, পোলট্রি থেকে আয় ১৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা, পারিতোষিক ও ভাতাদি থেকে আয় ২৩ লাখ ২৭ হাজার ৫৮০ টাকা ও নগদ টাকা ১৮ লাখ ৯৯ হাজার ৩১ টাকা। ব্যাংকে জমা ছিল ১৭ লাখ ৭৭ হাজার ৭৩ টাকা। স্ত্রীর ছিল সাত লাখ ৩৬ হাজার ৯০৪ টাকা।

নিজের ও স্ত্রীর নামে ছিল ২২ তোলা সোনা। তিনটি গাড়ির মূল্য দেখানো হয় যথাক্রমে ৯২ লাখ ৫০ হাজার, ৭৩ লাখ ৫০ হাজার ও ৪২ লাখ টাকা। স্ত্রীর নামে কৃষিজমি ছিল ৩৫ শতাংশ ও অকৃষি জমি ১৪ শতাংশ। নিজ নামে ৬৯১ শতাংশ কৃষিজমি, ১০১ শতাংশ অকৃষি জমি ও ৯৬০ বর্গফুটের একটি আধাপাকা টিনশেড। এক হাজার ৫৬৮ বর্গফুটের দোতলা ভবনের মূল্য দেখানো হয় ৪০ লাখ টাকা।

২০১৮ সালে মন্ত্রীর বার্ষিক আয় ছিল ৪৫ লাখ ৬৫ হাজার ৫৮০ টাকা। অস্থাবর সম্পত্তি ছিল দুই কোটি ৪৭ লাখ ২৬ হাজার ১০৪ টাকার। স্থাবর সম্পত্তির মধ্যে নিজের ও স্ত্রীর নামে কৃষি ও অকৃষি জমির মূল্য না দেখালেও তখন একটি এক হাজার ৫৬৮ বর্গফুটের দোতলা ভবনের মূল্য দেখানো হয় ৪০ লাখ টাকা। আর ৯৬০ বর্গফুটের একটি টিনশেডের মূল্য দেড় লাখ টাকা উল্লেখ করেন তিনি।

২০২৩ সালের হলফনামায় মন্ত্রী উল্লেখ করেছেন, কৃষিখাতে তার আয় এক লাখ ৯৫ হাজার টাকা। শেয়ার, সঞ্চয়পত্র/ব্যাংক আমানত/ব্যাংক সুদ বাবদ আয় ১৮ হাজার ৯৯৮ টাকা। মন্ত্রী হিসেবে সম্মানী ভাতা ২৩ লাখ ২৫ হাজার ৮৮৮ টাকা। নগদ ক্যাশ রয়েছে ১০ লাখ ৩৬ হাজার ১০০ টাকা। ব্যাংকে জমা আছে ১০ লাখ ৮৬ হাজার ৪৫০ টাকা।

ভাওয়াল প্রোপার্টিজ লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠানে শেয়ার রয়েছে দুই লাখ ৫০ হাজার টাকার। সোনা সাত ভরি। আসবাবপত্র রয়েছে দেড় লাখ টাকার। তার ৬৯১ শতাংশ কৃষিজমি, ১০১ শতাংশ অকৃষি জমি, ১০ তলা ফাউন্ডেশনের দোতলা আবাসিক দালান রয়েছে (মূল্য এক কোটি ৪৩ লাখ ৩৮ হাজার ৯০০ টাকা), এক হাজার ৫৬৮ বর্গফুটের একটি দোতলা দালান রয়েছে, যার মূল্য ৪০ লাখ টাকা। এছাড়া ৯৬০ বর্গফুটের আধাপাকা একটি টিনশেড রয়েছে, যার মূল্য দেখানো হয়েছে দেড় লাখ টাকা।

মন্ত্রীর আয় ২৫ লাখ ৩৯ হাজার ৮৮২ টাকা। অস্থাবর সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে এক কোটি ২২ হাজার ৫৫০ টাকা আর স্থাবর সম্পত্তির হিসাব দেখিয়েছেন দুই কোটি ৫ লাখ ৮৪ হাজার ২০০ টাকা।

আমিনুল ইসলাম/এসআর/এএসএম

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।