নগদ টাকা ও আয় বেড়েছে তাজুল ইসলামের

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ব্রাহ্মণবাড়িয়া
প্রকাশিত: ০৮:৩৩ পিএম, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এমপি ক্যাপ্টেন (অব.) তাজুল ইসলামের নগদ টাকা, ব্যাংকে জমা অর্থ ও আয় বেড়েছে। আসন্ন নির্বাচনে মনোনয়নের সঙ্গে জমা দেওয়া হলফনামা থেকে এতথ্য জানা গেছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ (বাঞ্ছারামপুর) আসনের চারবারের এমপি এ বি তাজুল ইসলাম। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী তিনি।

২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামা অনুযায়ী, এমপি তাজুল ইসলামের নগদ টাকা ছিল ১৫ লাখ ৭৯ হাজার ৭৩৬ টাকা। ব্যাংকসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা ছিল ১৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা। পাঁচ বছর পর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হলফনামা অনুযায়ী, তাজুল ইসলামের নগদ টাকার পরিমাণ বেড়ে হয়েছে ৫৯ লাখ ৭০ হাজার ৪৪০ টাকা। আর ব্যাংকসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা রয়েছে ২৪ লাখ ৭৮ হাজার টাকা।

গত পাঁচ বছরে শেয়ার ও স্বর্ণালঙ্কার বাড়েনি এ এমপির। ২০১৮ সালে ৭৫ লাখ টাকার মোটরযান থাকলেও ২০২৩ সালে তার এক কোটি ৭৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার মোটরযান রয়েছে। তিনিই একক সম্পদের মালিক। তার স্ত্রী বা নির্ভরশীলদের কোনো সম্পদ ও নগদ টাকা নেই বলে হলফনামায় উল্লেখ করেছেন।

হলফনামায় তাজুল ইসলাম পেশা হিসেবে উল্লেখ করেছেন ‘পরামর্শক’। আয়ের উৎস হিসেবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হলফনামায় উল্লেখ করেছিলেন, কৃষিখাত থেকে বার্ষিক আয় ৯২ হাজার টাকা, বাড়ি ও দোকান ভাড়া বাবদ ১০ লাখ ৪০ হাজার ৮৬৮ টাকা, শেয়ার বা ব্যাংক আমানত থেকে ২৫ লাখ ৪ হাজার ২৩৬ টাকা, পেশা থেকে দুই লাখ টাকা এবং চাকরি থেকে আয় ছয় লাখ ৯২ হাজার টাকা।

তবে গত পাঁচ বছরে সেই চিত্র পাল্টেছে। এবারের নির্বাচনী হলফনামায় আয়ের উৎসে উল্লেখ করেছেন, কৃষিখাত থেকে এক কোটি ৪০ লাখ টাকা, শেয়ার ও সঞ্চয়পত্র থেকে এক কোটি ৩৮ লাখ ৫৮ হাজার ৩৫৭ টাকা, পেশা থেকে ১৬ লাখ ৫০ হাজার এবং চাকরির বেতন পান ছয় লাখ ৮৮ হাজার টাকা পান তিনি। তবে এখন আর কোনো বাড়ি বা ফ্ল্যাট ভাড়া পান না বলে জানিয়েছেন তাজুল ইসলাম।

আবুল হাসনাত মো. রাফি/এসআর/এএসএম

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।