যশোর-৪ আসন

তিন মেয়াদে এমপি রণজিতের আয় বেড়েছে ২৫ গুণ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি যশোর
প্রকাশিত: ১২:৫৪ পিএম, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩

যশোর-৪ আসনে তিন বারের সংসদ সদস্য রণজিত কুমার রায়ের বার্ষিক আয় বেড়েছে ২৫ গুণ। ২০০৮ সালে তার বার্ষিক আয় ছিল এক লাখ ৬৭ হাজার টাকা। ২০২৩ সালে এ আয় ২৫ গুণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪২ লাখ ৮৫ হাজার ৭৮৩ টাকা। আয়ের সঙ্গে সঙ্গে সম্পদের পরিমাণও বেড়েছে লাফিয়ে লাফিয়ে। তার স্ত্রী নিয়তি রানীও অর্জন করেছেন অঢেল সম্পদ। নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা ২০০৮ ও ২০২৩ সালের হলফনামার তথ্য বিশ্লেষণে এ তথ্য উঠে এসেছে।

যশোরের বাঘারপাড়া ও অভয়নগর উপজেলা এবং বসুন্দিয়া ইউনিয়ন নিয়ে যশোর-৪ গঠিত। টানা তিনবার সংসদ সদস্য থাকায় তার ভাগ্যবদল হয়েছে। তার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে কয়েকগুণ।

নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা ২০০৮ ও ২০২৩ সালের হলফনামা বিশ্লেষণে দেখা যায়, রণজিত কুমার রায়ের বর্তমান (২০২৩) বার্ষিক আয় ৪২ লাখ ৮৫ হাজার ৭৮৩ টাকা। যা ২০০৮ সালে ছিল এক লাখ ৬৭ হাজার টাকা। এ অনুযায়ী তার আয় বেড়েছে ২৫ গুণ। তার স্ত্রীর বর্তমানে কোনো আয় নেই। আগেও ছিল না।

২০০৮ সালের হলফনামায় উল্লেখ করা হয় রণজিত কুমার রায়ের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের মূল্য ৪ লাখ ১০ হাজার টাকা। ২০২৩ সালের হলফনামায় তার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ছয় কোটি ৯৭ লাখ ৬০ হাজার ৮৬৮ টাকা উল্লেখ করা হয়েছে। ২০০৮ সালের হলফনামায় রণজিত কুমার রায়ের স্ত্রী নিয়তি রানীর নামে স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির মূল্য ছিল ৮৫ হাজার টাকা। যা বর্তমানে (২০২৩) সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই কোটি ৭৩ লাখ ৭৫ হাজার ২৯৮ টাকা।

হলফনাম বিশ্লেষণে আরও দেখা যায়, রণজিত কুমার ২০০৮ সালে চার বিঘা কৃষি জমি পৈতৃক সূত্রে পেলেও বর্তমানে ১২ বিঘা জমির মালিক। স্ত্রীর নামে ২০০৮ সালে কোনো জমি বা বাড়ি না থাকলেও বর্তমানে তিনটি বাড়ি আছে। যার মূল্য হলফনামার তথ্য অনুযায়ী এক কোটি ৪৬ লাখ ৭২ হাজার টাকা। একই সঙ্গে বাড়ি/অ্যাপার্টমেন্ট হিসেবে ৫০ লাখ টাকা উল্লেখ করেছেন।

২০০৮ সালে রণজিত কুমার রায়ের কাছে এক লাখ টাকা নগদ থাকলেও বর্তমানে এক কোটি ৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা দেখিয়েছেন। ২০০৮ সালে সংসদ সদস্যের স্ত্রীর কাছে ৭০ হাজার টাকা নগদ ছিল। বর্তমানে তার স্ত্রীর কাছে ৫১ লাখ ১৬ হাজার ৮৪০ টাকা আছে। পূর্বে ব্যাংকিং সঞ্চয় ডিপিএস হিসেবে কোনো টাকা না থাকলেও বর্তমানে রণজিত রায় দম্পতির ২৭ লাখ ৩৮ হাজার ৪৯২টাকা আছে। তার কোন দায় দেনা নেই। হলফনামায় রণজিত কুমার রায় তার সন্তানদের তথ্য উল্লেখ করেননি।

সংসদ সদস্য রণজিত কুমার রায় বলেন, আমি তিনবারের সংসদ সদস্য। হলফনামায় আয়কর বিবরণী ফাইল অনুযায়ী তথ্য সরবরাহ করা হয়েছে। আমার আয় বহির্ভূত কোনো সম্পদ নেই।

মিলন রহমান/এসজে/জিকেএস

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।