রোকেয়া হলে বিকেল ৩টায় ফের ভোট

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:২৮ পিএম, ১১ মার্চ ২০১৯

অনিয়মের অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলে ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়। বিকেল ৩টায় এ হলে ভোটগ্রহণ আবার শুরু হবে বলে জানান ড. মুহাম্মদ সামাদ।

রোকেয়া হলের ছাত্রীদের অভিযোগ, হলে মোট নয়টি ব্যালট বাক্সে ভোটগ্রহণ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার সময় ছয়টি ব্যালট বাক্স দেখানো হয়। এ নিয়ে শুরু থেকেই তাদের মধ্যে সন্দেহ ছিল। ছাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভ ছিল। পরে তারা জানতে পারেন, পাশের একটি কক্ষে ওই তিনটি ব্যালট বাক্স রাখা হয়েছে। পরে ছাত্রীরা কক্ষটির দরজা ভেঙে ওই তিনটি ব্যালট বাক্স বের করে বাইরে নিয়ে আসেন। তারা ওই ব্যালট বাক্সগুলোর তালা ভেঙে দেখেন সেগুলোয় ব্যালট পেপার ভরা। তবে সেগুলোয় ভোট দেয়া ছিল না। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, এত ব্যালট পেপার কেন? সেগুলো লুকিয়েই–বা রাখা হবে কেন?

ওই ঘটনায় বেলা সাড়ে ১১টার পর থেকে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয় এ হলে। দুপুর সোয়া ১টার দিকে পর্যবেক্ষণে আসেন ড. মুহাম্মদ সামাদ। পর্যবেক্ষণ শেষে তিনি সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ভোটগ্রহণ আবার শুরু হবে বিকেল ৩টা থেকে। ব্যালট পেপার আধাঘণ্টার মধ্যে ছাপিয়ে আনা সম্ভব। আমরা এজন্য পদক্ষেপ নিচ্ছি।

rokeya-hall-02

প্রসঙ্গত, সোমবার সকাল ৮টা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদগুলোর নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়।

ড. মুহাম্মদ সামাদ বলেন, ‘যত সময়ই লাগুক ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করা হবে।’ নষ্ট হওয়া ব্যালট পেপারের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের ব্যালট ছাপানোর সিস্টেম আছে। ভোটগ্রহণ কর্তৃপক্ষ যদি চায় তাহলে ব্যালট ফের ছাপানো যাবে।’

নির্বাচন পর্যবেক্ষকরা দাবি করেছেন, ভোটগ্রহণ সুষ্ঠু হচ্ছে না, ভোটগ্রহণের গতিও খুব ধীর। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, পর্যবেক্ষক কারা? আমরা তো কোনো পর্যবেক্ষক নিয়োগ দেইনি। কেউ তো স্ব-ইচ্ছায় স্বতন্ত্র পর্যবেক্ষক হতে পারেন না।

rokeya-hall-03

গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ঢাবির শিক্ষক হিসেবে যে কেউ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘এটা ঠিক নয়। বরং আমরাই এবার ডাকসু নির্বাচনের জন্য আচরণবিধি তৈরি করেছি। অথচ আগে ছিল না। বরং আগে রঙিন পোস্টারে ছেয়ে যেত। এবার সেটা হতে দেয়া হয়নি। সবার সহযোগিতা ও সহনশীল মনোভাব প্রয়োজন।

তিনি আরও বলেন, যতটুকু সময়ক্ষেপণ হয়েছে তা পুষিয়ে দিয়ে ফের ভোটগ্রহণ শুরু হবে।

ব্যালট পেপারে নম্বর নেই, ব্যালট বাক্সেও নম্বর নেই। তাহলে যা ছাপিয়ে আনা হবে তা কীভাবে গ্রহণযোগ্য হবে? এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘না, ব্যালট পেপারে নম্বর আছে। নেই এটা ঠিক নয়।’

এমএআর/এমকেএইচ

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।