৫০ শতাংশ শুল্কারোপ, বন্ধ হয়ে গেছে ভারতের বড় শহরের বস্ত্র উৎপাদন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:১৮ পিএম, ২৭ আগস্ট ২০২৫
ভারতের বড় শহরের বস্ত্র উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে/ ছবি: এএফপি (ফাইল)

ভারতের ওপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক বুধবার থেকে কার্যকর হয়েছে। ফলে ভারতের ওপর আরোপিত মোট শুল্কের হার এখন ৫০ শতাংশ, যা অন্য যে কোনো দেশের তুলনায় অনেক বেশি। ভারত ছাড়া ব্রাজিলই একমাত্র দেশ যাদের ওপর এত বেশি শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। নতুন শুল্ক কার্যকর হওয়ায় এর সবচেয়ে বড় প্রভাব দেখা যাচ্ছে ভারতের বস্ত্রখাতে। জানা গেছে, দেশের অনেক বড় শহরে বস্ত্র উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে।

ট্রাম্প প্রাথমিকভাবে ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিলেন এবং রাশিয়ার তেল কেনার জন্য জরিমানা হিসেবে ২৫ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের ঘোষণা করেছিলেন। ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান এক্সপোর্ট অর্গানাইজেশনের সভাপতি এস সি রালহান বলেন, ক্রমবর্ধমান ব্যয় বৃদ্ধি এবং প্রতিযোগিতার কারণে বস্ত্র উৎপাদকরা তিরুপুর, নয়ডা এবং সুরাটে উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছে। ভিয়েতনাম ও বাংলাদেশে কম খরচে তৈরি হচ্ছে পোশাক। আমরা এসব প্রতিদ্বন্দ্বীদের চেয়ে পিছিয়ে আছি।

তিনি আরও বলেন, সামুদ্রিক খাবার বিশেষ করে চিংড়ি রপ্তানিতে বড় ধাক্কা আসছে। যেহেতু ভারতের সামুদ্রিক খাদ্য রপ্তানির প্রায় ৪০ শতাংশই যুক্তরাষ্ট্র নির্ভর তাই শুল্কের জেরে সরবরাহ শৃঙ্খল ব্যাহত হওয়া এবং মাছচাষীদের দুর্দশার মতো অনেক ঝুঁকি রয়েছে।

রালহান আরও বলেন, চীন, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, ফিলিপাইন এবং দক্ষিণ-পূর্ব ও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর তুলনায় ভারতীয় পণ্য প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে রয়েছে।

সিআইটিআই অর্থাৎ কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সরকারের কাছ থেকে স্বস্তি পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন বস্ত্র উৎপাদকরা। সিটিআই সভাপতি রাকেশ মেহরা বলেছেন, সরকার এই মুহুর্তে কীভাবে সহায়তা করতে পারে তা নিয়ে আমাদের সঙ্গে কথা বলছে। তবে পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনা করে আমরা আর্থিক সহায়তার মাধ্যমে দৃঢ় সমর্থন চাই এবং কাঁচামালের ক্ষেত্রে নীতি পর্যায়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে চাই।

সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস

টিটিএন

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।