বেইলি রোডে আগুন

আগুন লাগা ভবনে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না: পিবিআই

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১১:৪৩ এএম, ০১ মার্চ ২০২৪

বড় কোনো বিস্ফোরণ নয়, বেইলি রোডের গ্রিন কজি কটেজ ভবনের ভয়াবহ আগুন সিলিন্ডার অথবা গ্যাসলাইন থেকে ঘটতে পারে। এছাড়াও ভবনটিতে পর্যাপ্ত অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না।

রাতে আগুন নেভার পর থেকে তদন্ত শুরু করে পিবি, আইসি আইডি ও ফায়ার সার্ভিস। শুক্রবার (১ মার্চ) সকালে বেইলি রোডের পুড়ে যাওয়া ভবনের সামনে তদন্ত চলাকালীন গণমাধ্যমের সঙ্গে এসব কথা বলেন পিবিআই এসপি মিজানুর রহমান শেলী।

আরও পড়ুন

তিনি বলেন, ভয়াবহ আগুনে এখন পর্যন্ত পুড়ে মারা গেছে ৪৬ জন। তাদের দেখে মনে হয়েছে বেশিরভাগ মানুষ শ্বাসকষ্টে মারা গেছে। এ থেকে বোঝা যায় ভবনটিতে ভ্যান্টিলেটর ও অগ্নিনিরাপত্তার অভাব ছিল।

আগুন লাগা ভবনে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না: পিবিআই

আগুন লাগার কোনো সূত্র পাওয়া গেছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কয়তলা থেকে আগুন লেগেছে আমরা নির্দিষ্ট করে বলতে পারছি না। প্রত্যক্ষদর্শীরা দ্বিতীয় তলা কেউবা প্রথম তলার কথা বলেছেন। ওপরে আগুন লেগে থাকলে সেখান থেকে ওপরেই যাওয়ার কথা। সেক্ষেত্রে নিচ তলা থেকেও হতে পারে। এটা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।

আরও পড়ুন

তিনি বলেন, আরেকটি বিষয় হলো আগুন বিস্ফোরণ থেকে হয়নি। অন্যান্য ঘটনায় দেখেছি বিস্ফোরণ হয়ে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে কিন্তু এখানে তেমনটি হয়নি ধারণা করা যায়। এই ভবনের সামনে গ্লাস ফিটিং, ভেতরে যে ধোঁয়া ছিল বের হওয়ার সুযোগ ছিল না। আমাদের লোকজন কাজ করছে, ভেতরে এখনো প্রচুর ধোঁয়া রয়েছে।

আগুন লাগা ভবনে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না: পিবিআই

ভবনে আগে থেকে অগ্নিনির্বাপক পর্যাপ্ত যন্ত্র ছিল কি না বা নিরাপত্তার অভাব ছিল কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা আসলে তদন্ত ছাড়া বলা যাবে না। আমরা নিচে কিছু অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র দেখেছি। হয়ত সব ফ্লোরে ছিল না। তবে ভবনে পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র ও ভ্যান্টিলেটরের অভাব ছিল। এক্ষেত্রে সঠিক সময়ে সঠিক ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ। ওই সময়ে মানুষ এটা ব্যবহার করতে পারে না। ফায়ার সার্ভিস প্রতিবেদন দিলে আমরা সম্পূর্ণ বলতে পারব।

আরএএস/এমআরএম/এমএস

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।