ইরানে পৌঁছেছে সোলেইমানির মরদেহ
ইরানে পৌঁছেছে দেশটির বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল কাসেম সোলেইমানির মরদেহ। শুক্রবার ইরাকের রাজধানী বাগদাদের আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে যুক্তরাষ্ট্রের এক হামলায় ইরানের কুর্দস বাহিনীর ক্ষমতাধর এই জেনারেল এবং এক ইরাকি মিলিশিয়া প্রধান নিহত হন। খবর রয়টার্সের।
রোববার সকালে সোলেইমানির মরদেহ ইরানে পৌঁছেছে বলে নিশ্চিত করেছে দেশটির রাষ্ট্রীয় প্রচার মাধ্যম ইরিব নিউজ। তার মরদেহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় আহভাজ শহরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
ইরিব নিউজের এক ভিডিও ক্লিপে দেখা গেছে, ইরানি পতাকায় মোড়া একটি বাক্স বিমান থেকে নামানো হচ্ছে। সে সময় কাসেমির মরদেহকে গার্ড অব অনার দেয়া হয়। হাজার হাজার মানুষকে কালো পোশাকে শোক পালন করতে দেখা গেছে। ইরান সমর্থিত ইরাকি মিলিশিয়া নেতা আবু মাহদি আল মুহান্দিসের মরদেহও আহভাজ শহরে নেয়া হয়েছে।
এদিকে, শনিবার রাজধানী বাগদাদে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনীর একটি ঘাঁটিতে দুটি রকেট হামলার ঘটনা ঘটেছে। অন্যদিকে বাগদাদের সুরক্ষিত গ্রিন জোনে মার্কিন দূতাবাসের কাছে আঘাত করেছে দুটি মর্টারের গোলা। ইরাকি নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, এসব হামলায় কেউ হতাহত হয়নি।
ওই হামলার পর ইরানের ৫২ স্থানে কঠোর হামলার হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, ইরান যদি আমেরিকানদের ওপর বা যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সম্পদ লক্ষ্য করে হামলা চালায় তবে তেহরানের ৫২ স্থানে ভয়াবহ হামলা চালানো হবে।
এক টুইট বার্তায় ইরানকে হুমকি দিয়ে ট্রাম্প বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ৫২ স্থানকে টার্গেট করেছে। এর মধ্যে কিছু ইরানের প্রথম সারির এবং খুবই গুরুত্বপূর্ণ স্থান। এগুলো ইরানের সংস্কৃতি এবং ইরানিদের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। এসব স্থানে খুব দ্রুত ভয়াবহ হামলা চালানো হবে।
টিটিএন/পিআর