গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট
হাদির ওপর হামলা প্রমাণ করে নির্বাচন বানচালের চক্রান্ত চলছে
তফশিল ঘোষণার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঢাকা-৮ আসনের প্রার্থী ওসমান হাদির ওপর সশস্ত্র হামলার তীব্র নিন্দা ও নির্বাচন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট। নির্বাচন বানচাল করার একটা চক্রান্ত দেশে ক্রিয়াশীল বলেও মন্তব্য করেন গণতান্ত্রিক সংস্কার জোটের নেতারা।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাতে জোটের পক্ষে বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দিদার ভূঁইয়ার পাঠানো এক বার্তায় বলা হয়, যৌথ বিবৃতিতে জোটের মুখপাত্র ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সভাপতি অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ূম এবং আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, গত ১৬ মাসে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কাঙিক্ষত কোনো উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়নি। এমনকি সরকারের মধ্যে সেই প্রচেষ্টাও কোনো দৃশ্যমান পর্যায়ে ছিল না। পরিস্থিতি আতঙ্কজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে যখন আজকে জুলাই যোদ্ধা ও ঢাকা-৮ আসনের প্রার্থী ওসমান হাদির ওপর যেভাবে টার্গেট করে হামলা করা হয়েছে, তা প্রমাণ করে যে কেবল প্রশিক্ষিত শ্যুটারদের পক্ষেই এই কাজ করা সম্ভব।
তারা বলেন, হত্যার উদ্দেশ্যে সশস্ত্র হামলা হয়েছে। তার জীবন এখন সংকটাপন্ন। এ ঘটনা দেশের বিবেককে যেমন একটা বড় ধাক্কা দিয়েছে তেমনি দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যে ভয়াবহভাবে নাজুক সেটা প্রকাশ করেছে। গণতান্ত্রিক সংস্কার জোটের অন্তর্গত তিনটি দলের সদস্যরা ওসমান হাদির দ্রুত সুস্থতা কামনা করে এ হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
এর আগে বরিশাল, নোয়াখালীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সামনেই নির্বাচনি প্রার্থীদের ওপর নাজেহাল, হামলা এমনকি গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। সেসব ঘটনা প্রতিরোধে বা বিচারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সম্পূর্ণ ব্যর্থ ছিল। এবার ওসমান হাদির ওপর হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নূন্যতম সক্ষমতা, গোয়েন্দাবাহিনীগুলোর নূন্যতম তৎপরতা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নূন্যতম দায়িত্বশীলতা ও জবাবদিহিতা থাকলে একের পর এক এসব ঘটনা ঘটতে পারে না। পুলিশ ও প্রশাসন সংস্কার ব্যর্থ হবার ফলাফল এটা।
বার্তায় বলা হয়, তিন নেতা ওসমান হাদির ওপর সশস্ত্র হামলার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চান। একই সঙ্গে আশঙ্কা প্রকাশ করে নেতৃবৃন্দ বলেন, নির্বাচন বানচাল করার একটা চক্রান্ত দেশে ক্রিয়াশীল। দেশে অরাজকতা তৈরি করে পরাজিত মাফিয়া গোষ্ঠীর দেশে ফেরার পথ সুগম করার জন্য একটি গোষ্ঠী কাজ করছেন। এখনি সরকার, নির্বাচন কমিশন, গোয়েন্দা বাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলো দায়িত্বশীল ও উদ্যমী না হলে সামনের দিনে পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হতে পারে। এমন কোনো পরিস্থিতির দায় তারা কেউ এড়াতে পারবেন না।
এনএস/এসএনআর/এএসএম