হাদির ওপর হামলায় জড়িতদের গ্রেফতারে ডাকসুর আলটিমেটাম
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে গুলির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)। এসময় হামলায় জড়িতদের গ্রেফতারে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেওয়া হয় কর্মসূচি থেকে।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ডাকসুর সামনে থেকে মিছিলটি শুরু হয়। মিছিলটি মধুর ক্যানটিন হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে ভিসি চত্বরে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে মিছিলটি শেষ হয়।
মিছিলে শিক্ষার্থীরা ওসমান হাদির ওপর হামলাকারীদের শাস্তির দাবিতে ‘হাদির গায়ে গুলি কেন-ইন্টেরিম জবাব চাই’, ‘আমরা সবাই হাদি হব-গুলির মুখে কথা কব’, ‘তুমি কে আমি কে-হাদি হাদি’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।
স্যার এ এফ রহমান হলের ভিপি রফিকুল ইসলাম বলেন, ইন্টেরিম সরকার নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে। কিন্তু নির্বাচনের প্রার্থীদের নিরাপত্তা দিতে পারছে না। এর দায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের। দেড় বছরেও তারা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কোনো ধরনের উন্নতি করতে পারেনি। আমরা হাদির হামলাকারীদের অবিলম্বে খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।
ডাকসুর স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মিনহাজ বলেন, আমরা হাদি ভাইয়ের পিআর টিমের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি, তারা কতিপয় সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে চিহ্নিত করেছে, যারা সকাল থেকেই ওসমান হাদিকে অনুসরণ করছিলো। আমরা সেসব ফুটেজ রমনা জোনের ডিসিকে হস্তান্তর করেছি।
তিনি বলেন, যেসব বিষয় পুলিশের বের করার কথা সেসব আমরা তাদের দিয়েছি। এরপরও যদি অপরাধীদের গ্রেফতার করা না হয় তাহলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বসে থাকবে না।
ডাকসুর এজিএস মহিউদ্দিন খান বলেন, শরিফ ওসমান হাদির সংগ্রাম আমাদেরই সংগ্রাম। আজকে হাদিকে গুলি করা হয়েছে, কিন্তু এর মাধ্যমে তার যে লড়াই, সেই লড়াই শেষ হয়ে যাবে না। হাদির ওপর হামলাকারীদের গ্রেফতারে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আমরা ২৪ ঘণ্টার সময় দিচ্ছি। এর মধ্যে অপরাধীদের আইনের আওতায় না আনা হলে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
এমএইচএ/এমএমকে/এএসএম