শক্তিশালী ভূমিকম্প

তুরস্ক ও সিরিয়ায় নিহত বেড়ে ৩০০, ধ্বংসস্তূপে আটকা বহু মানুষ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:০৪ পিএম, ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
ছবি: সংগৃহীত

তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্ত অঞ্চলে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা এখন পর্যন্ত ৩০০ জন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। ভবন ধসে আটকা পড়েছেন বহু মানুষ। চলছে উদ্ধার কাজ।

সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ভোরের দিকে আঘাত হানা ভূমিকম্পে বিভিন্ন স্থাপনা কেঁপে ওঠে লেবানন ও সাইপ্রাসেও।

jagonews24

তুরস্কে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত ৭৬ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন আরও ৪৪০ জন। দেশটিতে জরুরি অবস্থা জারি করেছে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েব এরদোয়ানের প্রশাসন।

অন্যদিকে, সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে, ভূমিকম্পের আঘাতে ২৩৭ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আহত হয়েছেন আরও ৬০০ জন। এখনও ধ্বংসস্তূপে আটকা পড়ে আছেন বহু মানুষ।

আরও পড়ুন> ভূমিকম্পে শুধু সিরিয়াতেই নিহত অন্তত ২৩৭

ভয়াবহ এ ঘটনার পরপরই তুরস্কের প্রেসিডেন্ট টুইটারে বলেছেন, ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ‘তাৎক্ষণিকভাবে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে, পাঠানো হয়েছে উদ্ধারকারী দল।’

তিনি টুইটারে আরও লেখেন, ‘আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এবং কম ক্ষতি হয় সেভাবে কাজ করছি। সবাইকে একসঙ্গে এই বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠার আশাও ব্যক্ত করেন তিনি। যদিও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছেন প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান।

প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েব এরদোয়ান টেলিফোনে আটটি ক্ষতিগ্রস্ত শহরের গভর্নরদের সঙ্গে কথা বলেছেন।

ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলের কাছে তুর্কি শহর গাজিয়ানতেপের বাসিন্দা এরদেম বলেন, ‘আমি ৪০ বছর ধরে এমন ভয়াবহ ঘটনার মুখোমুখি হয়নি। আমি বেঁচে আছি কিনা এমন অনুভব করতে পারছিলাম না।’

jagonews24

তিনি জানান, ‘আমরা তিন দফায় ভূ-কম্পন টের পেয়েছি।’

তুরস্কের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ৭৬ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৪৪০ জন। চলছে উদ্ধার কাজ। আন্তর্জাতিক সহযোগিতারও আহ্বান জানিয়েছে তারা।

এর আগে ১৯৯৯ সালে তুরস্কে ভয়াবহ ভূমিকম্পে কমপক্ষে ১৮ হাজার মানুষ নিহত হন। 

সূত্র: রয়টার্স, বিবিসি

এসএনআর/জেআইএম/জিকেএস

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।