ভূমিকম্পে সিরিয়ায় ৫৩ লাখ বাস্তুচ্যুতের শঙ্কা
সাত দশমিক আট মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে তুরস্ক ও সিরিয়া। দুই দেশে ধসে পড়েছে হাজার হাজার ভবন। লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। জাতিসংঘের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বিধ্বংসী এই ভূমিকম্পের ফলে সিরিয়ায় ৫৩ লাখ মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়তে পারে। খবর আল-জাজিরার।
শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার (ইউএনএইচসিআর) এর সিরিয়া প্রতিনিধি শিভাঙ্ক ধানপালা বলেছেন, দেশটিতে ৫৩ লাখ মানুষ ভূমিকম্পে গৃহহীন হয়ে পড়তে পারে। তাছাড়া এক যুগের বেশি সময় ধরে দেশটিতে যুদ্ধ চলছে। আগেই সিরিয়ায় লাখ লাখ মানুষ বাড়ি-ঘর হারিয়েছে।
আরও পড়ুন>‘চারদিকে লাশের গন্ধ’
তিনি আরও বলেন, সিরিয়ায় সংকটের মধ্যেই আরেক সংকট শুরু হয়েছে। যুদ্ধ, অর্থনৈতিক সংকট, করোনা, বৈরী আবহওয়া এবং সবশেষ ভূমিকম্প দেশটিতে বিপর্যয় নিয়ে এসেছে।
তুরস্ক-সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর পেরিয়ে গেছে পাঁচদিন। ঘণ্টার হিসাবে ১২৫’র বেশি। তাই ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে থাকা লোকদের জীবিত উদ্ধারের আশা প্রায় ফুরিয়েই এসেছে। অথচ এখনো নিখোঁজ হাজার হাজার মানুষ। তাদের উদ্ধারে আরও সময় দরকার, যে জিনিসটা কারও হাতেই নেই। তাতে সময়ের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় ক্রমেই পিছিয়ে পড়ছেন উদ্ধারকারীরা। আর জিতে যাচ্ছে মৃত্যু।
আরও পড়ুন>জীবিত উদ্ধার এখন ‘অলৌকিক’ ঘটনা
শনিবার (১১ ফেব্রুয়রি) মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, গত সোমবারের প্রলয়ংকরী ওই ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা এরই মধ্যে ২৪ হাজার ছাড়িয়েছে। তবে উদ্ধারকারীরা আটকেপড়া লোকদের উদ্ধারে প্রাণান্ত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
তুর্কি কর্তৃপক্ষ এবং সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের সবশেষ তথ্যমতে, দেশ দুটিতে এ পর্যন্ত ২৪ হাজার ৪৫৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কয়েক হাজার মানুষ এখনো নিখোঁজ। এছাড়া, কেবল তুরস্কেই আহত হয়েছেন ৮০ হাজারের বেশি লোক।
এমএসএম