ভূমিকম্প

সিরিয়ায় প্রথম সহায়তা পৌঁছালো তিন দিন পর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:৫২ পিএম, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
ছবি: সংগৃহীত

 

ভূমিকম্প আঘাত হানার তিন দিন পর প্রথম ত্রাণ সহায়তা পৌঁছালো সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে। বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বাব আল-হাওয়া সীমান্ত ক্রসিং পেরিয়ে বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলটিতে জাতিসংঘের ত্রাণবাহী একটি গাড়িবহর পৌঁছেছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। বার্তা সংস্থা এএফপির বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।

এএফপির সংবাদদাতা জানিয়েছেন, তিনি তাবু ও স্বাস্থ্যপণ্য নিয়ে ছয়টি ট্রাককে তুরস্ক থেকে সিরিয়ায় ঢুকতে দেখেছেন। সীমান্ত কর্মকর্তা মাজেন আলুশ বলেছেন, গত সোমবারের ভূমিকম্পের আগেই এসব ত্রাণ পৌঁছানোর কথা ছিল।

জাতিসংঘ এর আগে বলেছিল, তারা আশ্বাস পেয়েছে, বৃহস্পতিবার তুরস্ক থেকে একমাত্র অনুমোদিত ক্রসিংয়ের মাধ্যমে উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায় প্রাথমিক সহায়তা পৌঁছাবে।

আরও পড়ুন>> যে দৃশ্যে বুক কাঁপে

তুরস্কে জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক সমন্বয় অফিসের (ওসিএইচএ) প্রধান সানজানা কাজী আল-জাজিরাকে বলেছেন, জাতিসংঘের আন্তঃসীমান্ত সাহায্য কার্যক্রম আজ ফের চালু হয়েছে।

তিনি বলেন, স্বস্তি পাচ্ছি যে, এমন চাপের সময়ে আমরা উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায় জনগণের কাছে পৌঁছাতে পেরেছি। আশা করি, এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

গত সোমবার স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে তুরস্ক-সিরিয়ার সীমান্ত অঞ্চলে আঘাত হানে চলতি শতাব্দীর সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্প। ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ওই ভূমিকম্পের পরে আঘাত হানে আরও শতাধিক আফটারশক। এর মধ্যে কয়েকটি ছিল বেশ শক্তিশালী।

প্রলয়ংকরী ওই ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা এরই মধ্যে ১৭ হাজার ছাড়িয়েছে। কেবল তুরস্কেই মারা গেছেন ১৪ হাজার ১৪ জন। সিরিয়ায় নিহতের সংখ্যা ৩ হাজার ১৬২ জন। এর মধ্যে সিরিয়ার সরকারনিয়ন্ত্রিত এলাকায় প্রাণহানি ১ হাজার ২৬২ জন এবং বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ১ হাজার ৯০০ জন। ফলে দুই দেশ মিলিয়ে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ১৭৬ জন।

আরও পড়ুন>> রাজনীতি রেখে সাহায্য বাড়ান: জাতিসংঘ

লজিস্টিক সমস্যা এবং গাজিয়ানটেপ থেকে হাতায়ের জাতিসংঘ ট্রান্সশিপমেন্ট কেন্দ্রের সংযোগকারী সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় গত সোমবার প্রথম ভূমিকম্প আঘাত হানার পরপরই সিরিয়ার উত্তরপশ্চিমাঞ্চলে মানবিক সহায়তার পাঠানো বন্ধ হয়ে যায়।

ওসিএইচএ বুধবার বলেছে, তারা গাজিয়ানটেপ থেকে কিলিস-কিরিখান হয়ে এবং মারসিন থেকে আদানা-কিরিখান হয়ে সহায়তা কেন্দ্রে পৌঁছানোর দুটি বিকল্প পথ চিহ্নিত করেছে।

নাগরিক সমাজ সংস্থা বায়তনা সিরিয়ার প্রধান আসাদ আল-আচি আল-জাজিরাকে বলেছেন, তুর্কি সরকার বাব আল-সালামা এবং আল-রাই নামে দুটি অতিরিক্ত ক্রসিং দিয়ে সিরিয়ায় সহায়তা পাঠানোর অনুমতি দিয়েছে।

আরও পড়ুন>> ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় এক মাসের বেতন দেবেন তাইওয়ানিজ প্রেসিডেন্ট

তবে ওসিএইচএ কর্মকর্তারা বলেছেন, এই মুহূর্তে বাব আল-হাওয়াই জাতিসংঘের সহায়তা পাঠানোর একমাত্র সচল পথ।

২০২২ সালে প্রতি মাসে প্রায় ৬০০টি ত্রাণবাহী ট্রাক তুরস্ক থেকে সিরিয়ায় প্রবেশে করেছিল। তবে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের জন্য এখন আরও বেশি ত্রাণ সহায়তা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন উদ্ধারকর্মীরা।

কেএএ/

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।