তুরস্কে ভয়াবহ ভূমিকম্প
ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় এক মাসের বেতন দেবেন তাইওয়ানিজ প্রেসিডেন্ট
তুরস্কের ভূমিকম্প দুর্গতদের সহায়তায় নিজেদের এক মাসের বেতন দান করার ঘোষণা দিয়েছেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম লাই। বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) স্বায়ত্তশাসিত দ্বীপটির প্রেসিডেন্ট কার্যালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
জানা গেছে, সাইয়ের এক মাসের বেতন ৪ লাখ তাইওয়ানিজ ডলার, যা ১৩ হাজার ৩০০ মার্কিন ডলারের সমান (১ ডলার= ৩০ দশমিক শুন্য পাঁচ তাইওয়ানিজ ডলার)। বাংলাদেশি টাকায় তা প্রায় ১৪ লাখ ১৭ হাজার টাকা (৯ ফেব্রুয়ারির হিসাব অনুযায়ী ১ ডলার= ১০৬ দশমিক ৫৬ ডলার)।
আরও পড়ুন>> তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্প/ বেঁচে আছে ধ্বংসস্তূপের নিচে জন্মানো শিশুটি
আঙ্কারায় এরই মধ্যে সাই ও লাইয়ের বেতন ছাড়াও কিছু ত্রাণ পাঠিয়েছে তাইপে। দেশ পুনর্গঠনে তাইওয়ানের এ সহযোগিতা তুরস্কের কাজে লাগবে বলে আশা করছেন তারা। আগামী বছর হতে যাওয়া তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে সাই ও লাই দুজনেরই। নির্বাচনের আগে তাদের এমন মানবিক সিদ্ধান্ত জনমনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে দাবি করছেন অনেকে।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, তুরস্কের ভূমিকম্প দুর্গতদের ২০ লাখ ডলারের ত্রাণ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে শ্বায়ত্তশাসিত দ্বীপটি। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়া জীবিতদের উদ্ধারে চলা কার্যক্রমে সহায়তায় করতে দুটি উদ্ধারকারী দলও পাঠিয়েছে তারা।
আরও পড়ুন>> যে দৃশ্যে বুক কাঁপে
বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ভিডিও কলের মাধ্যমে তুরস্কে উদ্ধারকাজে অংশ নেওয়া তাইওয়ানিজ দলের কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেন সাই। পরে নিজের ফেসবুক পেইজে লেখেন, ঝুঁকিতে ভয় না পেয়ে তুরস্ক যাওয়া দলের সবাইকে আমি ধন্যবাদ জানাই। তাইওয়ান ও তুরস্ক যেন সবসময় একে অপরের পাশে থাকতে পারে।
বৃহস্পতিবার তাইপেইতে ডি ফ্যাক্টো তুর্কি দূতাবাস পরিদর্শন করেন সাই। এসময় তিনি একটি সমবেদনাপত্রে সই করেন ও লেখেন, আমার হৃদয় তুরস্কের ভূমিকম্প দুর্গত মানুষের জন্য দুঃখভারাক্রান্ত। এমন পরিস্থিতিতে তাইওয়ান তুরস্কের পাশে রয়েছে।
আরও পড়ুন>> সিরিয়ায় ভূমিকম্প/ রাজনীতি একপাশে রেখে সাহায্য জোরালো করুন: জাতিসংঘ
এদিকে, বিশ্বের অনেক দেশের মতো তুরস্কেরও তাইওয়ানের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। তবে দুই পক্ষই একে অপরের রাজধানীতে দূতাবাস সমপর্যায়ের কার্যালয় চালু রেখেছে। তাছাড়া ইস্তাম্বুল ও তাইপের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইটও চালু রয়েছে।
প্রায়ই ভূমিকম্পের কবলে পড়ে তাইওয়ান। ১৯৯৯ সালে দ্বীপটিতে হওয়া এক শক্তিশালী ভূমিকম্পে প্রাণ হারান দুই হাজারেরও বেশি মানুষ। সেময় তাইওয়ানে ত্রাণ ও উদ্ধারকারী দল পাঠিয়ে সাহায্য করেছিল আঙ্কারা।
আরও পড়ুন>> তুরস্ক-সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্প/ প্রাণহানি ১৫ হাজার ছাড়ালো, পুরোদমে চলছে উদ্ধারকাজ
সূত্র: রয়টার্স
এসএএইচ