ভূমিকম্প এড়িয়ে আগুনে মৃত্যু, পুড়ে অঙ্গার সিরীয় পরিবার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:৫০ এএম, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
প্রতীকী ছবি

ভয়াবহ ভূমিকম্পের কবল থেকে রক্ষা পেলেও নিস্তার মিললো না আগুনের হাত থেকে। জীবন্ত পুড়ে কয়লা হয়েছে একটি সিরীয় শরণার্থী পরিবারের সাত সদস্য। এদের মধ্যে পাঁচজনই শিশু। তাদের বয়স মাত্র চার থেকে ১৩ বছরের মধ্যে। তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি এ তথ্য জানিয়েছে।

কোনিয়ার চিফ পাবলিক প্রসিকিউটর অফিস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গত শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ওই অঞ্চলের একটি একতলা বাড়িতে আগুন লাগে। সেখানে মোট ১৪ জন বসবাস করতেন। এতে সাতজন নিহত এবং সাতজন আহত হয়েছেন। আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন>> ওরা কারও সন্তান নয়!

জানা গেছে, ভুক্তভোগী সিরীয় শরণার্থী পরিবারটি ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত তুরস্কের গাজিয়ানটেপ প্রদেশের নুরদাগি শহর থেকে কোনিয়ায় স্থানান্তরিত হয়েছিল কিছুদিন আগেই। গত ৬ ফেব্রুয়ারির ভয়াবহ ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর মধ্যে অন্যতম গাজিয়ানটেপ।

মুহসিন কাকির নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা আনাদোলুকে বলেন, আমরা আগুন দেখলেও হস্তক্ষেপ করতে পারিনি। জানালা দিয়ে একটি মেয়েকে উদ্ধার করা হয়েছে।

আরও পড়ুন>> ‘ভূমিকম্প, ভূমিকম্প’ খেলে ভয় কাটাচ্ছে শিশুরা

কোনিয়ার চিফ পাবলিক প্রসিকিউটর অফিস বিবৃতিতে বলেছে, অগ্নিকাণ্ডের স্থানে প্রয়োজনীয় তদন্ত করা হচ্ছে। এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

তুরস্কে প্রায় ৪০ লাখ সিরীয় শরণার্থীর বসবাস। তাদের অনেকেই দেশটির দক্ষিণপূর্ব অঞ্চলে বসবাস করেন, যেখানে গত সপ্তাহের ভূমিকম্প ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে।

আরও পড়ুন>> তুরস্ক থেকে সিরিয়ায় ফিরলো ১৫০০ মরদেহ

তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা এরই মধ্যে ৪৫ হাজার ছাড়িয়েছে। কেবল তুরস্কেই মারা গেছেন ৩৯ হাজার ৬৭২ জন এবং সিরিয়ায় মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৫ হাজার ৮০০ জনের।

তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম বড় শহর গাজিয়ানটেপের জনসংখ্যা প্রায় ২০ লাখ এবং এদের প্রায় এক-তৃতীয়াংশই সিরীয় শরণার্থী। ২০১১ সালে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হলে প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে আসেন তারা।

সূত্র: আল-জাজিরা
কেএএ/

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।