তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্প

সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছেন উদ্ধারকারীরা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:১২ পিএম, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
ছবি: সংগৃহীত

তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত এলাকাগুলোতে নিয়োজিত উদ্ধারকর্মীরা সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকেপড়া লোকদের বের করে আনতে যত দেরি হবে, তাদের জীবিত উদ্ধারের সম্ভাবনা তত কমে আসবে বলে জানিয়েছেন তারা।

যুক্তরাষ্ট্রের ডিউক ইউনিভার্সিটির জরুরি সেবা বিশেষজ্ঞ ড. রিচার্ড এডওয়ার্ড মুনের মতে, পানি এবং অক্সিজেনের স্বল্পতাই ভুক্তভোগীদের বেঁচে থাকার পথে প্রধান বাধা।

বিবিসি নিউজডে’র সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের শরীর থেকে দৈনিক ১ দশমিক ২ লিটার পর্যন্ত পানি বেরিয়ে যেতে পারে। এটি ঘটতে পারে প্রস্রাব, নিঃশ্বাস, জলীয় বাষ্প এবং ঘামের মাধ্যমে।

আরও পড়ুন>> মৃতের সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়াতে পারে, শঙ্কা ডব্লিউএইচওর

স্থানীয় সময় সোমবার ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে তুরস্ক-সিরিয়ায় আঘাত হেনেছিল ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্পটি। ফলে ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকেপড়া লোকদের শরীর থেকে এরই মধ্যে আট লিটারের বেশি পানি বেরিয়ে গেছে। এই অবস্থায় একজন মানুষ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে জানিয়েছেন ড. রিচার্ড।

তার ওপর, সিরিয়া-তুরস্কে এখন চলছে শীতকাল। একজন গড়পড়তা প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের শরীর উষ্ণ থাকার ক্ষমতা না হারিয়ে সর্বনিম্ন ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা সহ্য করতে পারে। কিন্তু যখন শরীর ঠান্ডা হয়ে যায়, তখন গল্প ভিন্ন।

আরও পড়ুন>> ধ্বংসস্তূপ থেকে বেরিয়ে আসছে একের পর এক লাশ

ড. রিচার্ড বলেন, ওই মুহূর্তে শরীরের তাপমাত্রা মূলত পরিবেশের তাপমাত্রাকে অনুসরণ করে। এবং এটি যে হারে ঘটতে পারে তা নির্ভর করবে ব্যক্তির উষ্ণ থাকা বা ভূগর্ভে কতটা আশ্রয়ে থাকছেন তার ওপর। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হতভাগ্য অনেকেই হাইপোথার্মিয়ায় আক্রান্ত হতে পারেন।

তিনি বলেন, যারা আটকে রয়েছেন এবং যেসব কর্মী তাদের বের করে আনার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন, আমার মন তাদের কাছে।

আরও পড়ুন>> ধসে পড়া ভবন থেকে জীবিত উদ্ধার ছোট্ট শিশু

তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান জানিয়েছেন, ভূমিকম্পে দতার দেশে ২ হাজার ৮০০টির বেশি ভবন ধসে পড়েছে।

বার্তা সংস্থা এপির সাংবাদিক সারাহ এল দিব জানিয়েছেন, সিরিয়ায় ভবন ধসের ঘটনা ঘটেছে অন্তত ২৪৪টি। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরও ৩২৫টি ভবন।

সিরীয় উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন, দেশটিতে আরও কয়েকশ পরিবার ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপ পড়ে রয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাদের সময় দ্রুত ফুরিয়ে আসছে।

আরও পড়ুন>> উদ্ধারকারী দল পাঠাচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ

হোয়াইট হেলমেটস-এর রায়েদ আল-সালেহ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, এখন প্রতিটি সেকেন্ডের অর্থ জীবন বাঁচানো। আমরা সব মানবিক সংস্থাকে বস্তুগত সহায়তা দিতে এবং এই বিপর্যযয়ে জরুরি ভিত্তিতে সাড়া দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

সূত্র: বিবিসি, রয়টার্স
কেএএ/

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।