তুরস্কে ‘অলৌকিক ঘটনা’
ভূমিকম্পের ৭ দিন পর জীবিত উদ্ধার ছয় বছরের শিশু
তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে সাতদিনের বেশি হলো। তীব্র ঠান্ডায় খাবার-পানি ছাড়া ধ্বংসস্তূপের নিচে এতদিন বেঁচে থাকা অসম্ভবই বটে। কিন্তু সৃষ্টির অপার মহিমায় সেই অসম্ভবকেই সম্ভব করেছে ছয় বছরের এক শিশু। ভূমিকম্প আঘাত হানার ১৭৮ ঘণ্টা পর জীবিত উদ্ধার হয়েছে সে।
সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর আদিয়ামানে ভূমিকম্পের ১৭৮ ঘণ্টা পর একটি ছোট্ট মেয়েকে উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন>> বিল্ডিং কোড না মানায় তুরস্কে এত বড় বিপর্যয়?
সিএনএন তুর্ক জানিয়েছে, ছয় বছর বয়সী মেয়েটির নাম মিরায়। উদ্ধারকারীরা তার বড় বোনের কাছেও পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন।
Miray, a 6-year-old girl, rescued from rubble in Adiyaman 178 hours after massive earthquakes hit Türkiye
— ANADOLU AGENCY (@anadoluagency) February 13, 2023
LIVE updates here: https://t.co/rjJzOvo2mE pic.twitter.com/NQyTapUyLJ
তুরস্কের পরিবহন মন্ত্রী আদিল কারিসমাইলোগ্লু এর আগে অবশ্য উদ্ধার হওয়া মেয়েটির বয়স চার বছর বলেছিলেন।
আরও পড়ুন>> বেঁচে আছে ধ্বংসস্তূপের নিচে জন্মানো শিশুটি
এদিন তুরস্কের হাতায় প্রদেশ থেকে ভূমিকম্পের ১৭৫ ঘণ্টা পর জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে এক নারীকেও। নাইদে উমায় নামে ওই নারীকে উদ্ধারের ভিডিও প্রকাশ করেছেন ইস্তাম্বুলের মেয়র একরেম ইমামোগ্লু।
Naide Umay was rescued from the rubble by our teams in Antakya, Hatay 175 hours after the earthquake. #TurkeyEarthquake pic.twitter.com/PyJ4NFOKoR
— Ekrem İmamoğlu (International) (@imamoglu_int) February 13, 2023
তুরস্ক-সিরিয়ার সীমান্ত অঞ্চলে গত ৬ ফেব্রুয়ারির ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা এরই মধ্যে ৩৬ হাজার ছাড়িয়েছে। ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ওই কম্পনের আঘাতে কেবল তুরস্কেই মারা গেছেন ৩১ হাজারের বেশি।
তুর্কি কর্তৃপক্ষের হিসাবে, দেশটিতে এ পর্যন্ত ৩১ হাজার ৬৪৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বিধ্বস্ত হয়েছে হাজার হাজার ঘরবাড়ি।
আরও পড়ুন>> ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেওয়া কি সত্যিই সম্ভব?
এছাড়া সিরিয়ায় মারা গেছেন অন্তত ৪ হাজার ৫৭৪ জন। এর মধ্যে দেশটির বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে প্রাণ হারিয়েছেন ৩ হাজার ১৬০ জন।
দুই দেশে এখনো বহু মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। কিন্তু ভূমিকম্পের পর সাতদিনের বেশি পার হয়ে যাওয়ায় ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়া লোকদের জীবিত উদ্ধারের আশা প্রায় ফুরিয়ে এসেছে। এর ফলে প্রাণহানির সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
আরও পড়ুন>> যে দৃশ্যে বুক কাঁপে
কেএএ/