দেড় মাসেই কালভার্ট গায়েব

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ফরিদপুর
প্রকাশিত: ০৬:০৪ পিএম, ১৯ জুলাই ২০১৯

ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা সদরের বিএসডাঙ্গী গ্রামে খালের মধ্যে মাত্র দেড় মাস আগে নির্মিত কালভার্টটি দেবে গিয়ে ভেঙে গেছে। বৃষ্টির পানির চাপে সম্প্রতি কালভার্টটি ভেঙে পানির মধ্যে বিলীন হয়ে যায়। কালভার্টটি বিলীন হওয়ায় গ্রামের শতাধিক পরিবারের যাতায়াতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

গত মে মাসের শেষের দিকে ৬১ হাজার টাকা ব্যয়ে কালভার্টটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করে উপজেলা বিআরডিবি অফিস। কালভার্টটি নির্মাণের পর এলাকাবাসী প্রায় দেড় মাস যাবৎ যাতায়াত করছিল।

জানা যায়, ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে উপজেলা বিআরডিবি অফিস ওই গ্রামের কাচা সড়ক দিয়ে জনগণের যাতায়াত সুগম করার লক্ষে খালের উপর ৬১ হাজার টাকা ব্যয়ে একটি কালভার্ট নির্মাণ করে। উপজেলা বিআরডিবি অফিসের ইউনিয়ন ডেভেলপমেন্ট কর্মকর্তা রাকিব হাসান কালভার্টটি নির্মাণ করেন। নির্মাণকালে অত্যন্ত নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার হয় বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ রয়েছে।

কালভার্টের পার্শ্ববর্তী বাসিন্দা আ. ওহাব শেখ জানান, কালভার্টটি নির্মাণকালে অত্যন্ত নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছিল। ওই সময় আমরা বহুবার মৌখিক আপত্তি করেছি। কিন্তু সংশ্লিষ্টরা কোনো কথায় শুনেননি।

স্থানীয় আরেক বাসিন্দা খলিল ফকির বলেন, বিআরডিবি অফিসার আমাদের কথায় কর্ণপাত না করায় ওই সময় আমরা এলাকার চেয়ারম্যান মেম্বারদেরও নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের বিষয়টি জানিয়েছি, কিন্তু তারাও এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

এ ব্যাপারে কালভার্ট নির্মাণের দায়িত্বে থাকা উপজেলা বিআরডিবি অফিসের ইউনিয়ন ডেভেলপমেন্ট কর্মকর্তা রাকিব হাসান বলেন, কেন যে কালভার্টটি ভেঙে বিলীন হয়ে গেল তা বুঝতে পারলাম না।

তিনি আরও বলেন, আমরা কোনো ইঞ্জিনিয়ারের মাধ্যমে কালভার্ট নির্মাণ করি না। এলাকার মিস্ত্রিদের সঙ্গে আলাপ করেই গ্রাম্য জনপথে উন্নয়ন কাজ করে থাকি।

চরভদ্রাসন উপজেলা বিআরডিবি কর্মকর্তা আ. হান্নান মিয়া বলেন, কালভার্টটি বিলীন হওয়ার বিষয়টি আশ্চর্য্য লাগছে। কি এমন বৃষ্টি হলো যে কালভার্টটি ভেঙে পানির নিচে তলিয়ে গেল। তিনি সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবেন বলে জানান।

বি কে সিকদার সজল/এমএএস/এমএস

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।