টাঙ্গাইলে কমতে শুরু করেছে যমুনার পানি

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি টাঙ্গাইল
প্রকাশিত: ০২:১৭ পিএম, ২০ জুলাই ২০১৯

টাঙ্গাইলে যমুনা নদীর পানি গত কয়েক দিনে অস্বাভাবিক হারে বাড়লেও গতকাল (১৯ জুলাই) বিকেলে থেকে কমতে শুরু করেছে। শনিবার ভূঞাপুরে পানি দুই সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৯৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এর আগের দিন যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার ৯৯ সেন্টিমিটার ওপরে ছিল। পানি বৃদ্ধির ফলে তারাকান্দি-ভূঞাপুর সড়ক ভেঙে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ ও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ হিসেবে ব্যবহৃত এই সড়কটির ৬০ মিটার অংশ ধসে গেছে। বৃহস্পতিবার রাত ৮টার সময় ওই সড়কের ভূঞাপুর উপজেলার টেপিবাড়ি নামক স্থানে ভাঙন দেখা দেয় ঘটনা ঘটে। শুক্রবার সকাল থেকেই রাস্তাটি মেরামতে কাজ করে যাচ্ছে সেনাবাহিনীর একটি দল।

Tangail-Flood-2.jpg

জেলা প্রশাসনের দেয়া তথ্যানুযায়ী গতকাল পর্যন্ত বন্যায় জেলার ৬ উপজেলায় নদী তীরবর্তী ৩৪টি ইউনিয়নের প্রায় ২১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এর মধ্যে ২টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভা সম্পূর্ণ প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন প্রায় তিন লাখ মানুষ। উপজেলাগুলো হলো- টাঙ্গাইল সদর, ভূঞাপুর, গোপালপুর, কালিহাতী, নাগরপুর ও মির্জাপুর।

চলতি বন্যায় এ পর্যন্ত এক হাজার ৩৩০টি বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়াও ২১ হাজার ৯৭৪টি বাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিন হাজার ৩৬ হেক্টর জমির ফসল পানিতে ডুবে গেছে। চারটি ব্রিজ ও কালভার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এছাড়া জেলার ৬ উপজেলার ১০২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যে ৮৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বন্যার পানি ঢুকে গেছে। আর ১৬টিতে আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। বন্যার্তদের সাহায্যার্থে জেলায় মোট ১৬টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এর মধ্যে ১৪টি ভূঞাপুরে এবং ২টি গোপালপুরে। এসব আশ্রয় কেন্দ্রে দুই হাজার ৪শ লোক আশ্রয় নিয়েছেন।

Tangail-Flood-2.jpg

তবে বন্যা দুর্গত এলাকায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৬৫ টন চাল ও নগদ তিন লাখ টাকা ত্রাণ সহায়তা দেয়ার কথা বলা হলেও অনেক এলাকাতেই এখনও ত্রাণ সহায়তা পৌঁছায়নি বলে দাবি করছেন দুর্গতরা।

বিষয়টি নিশ্চিত করে টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম জানান, গত কয়েক দিনে যমুনায় পানি অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেলেও শুক্রবার বিকেলের পর থেকে কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। শনিবার দুই সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৯৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে আজ থেকে পানি আরও হ্রাস পাবে।

আরিফ উর রহমান টগর/এমএমজেড/এমএস

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।