যমুনায় দুর্ভোগ বাড়ছে ভূঞাপুরবাসীর

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি টাঙ্গাইল
প্রকাশিত: ১১:৩৮ এএম, ১৬ জুলাই ২০১৯

যমুনা নদীর পানি আরও বাড়ায় টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে গোবিন্দাসী ইউনিয়নের তিন গ্রামে ব্যাপক ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। স্থানীয়রা যমুনা নদীর পাড়ে মাটি ও বালির বস্তা ফেলে ভাঙন ও বন্যা থেকে রক্ষার চেষ্টা করছেন।

এদিকে ভাঙনের কারণে গৃহহীন পরিবারগুলোর সহায়তায় এখন পর্যন্ত সরকারি বা বেসরকারি কোনো উদ্যোগ চোখে পড়েনি।

flood

জানা যায়, যমুনার তীব্র ভাঙনে ইতোমধ্যেই উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের কষ্টাপাড়া, ভালকুটিয়া ও খানুরবাড়ি গ্রামের তিন শতাধিক পরিবার বসতবাড়ি ও জমিজমা হারিয়েছেন। নতুন করে বিলীন হচ্ছে উপজেলার গাবসারা ও অজুর্না ইউনিয়নের বলরামপুর, তারাই, চর তারাই এলাকার ফসলি জমি।

এদিকে টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ভাঙন রোধে কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। উপজেলার ভাঙন কবলিত দেড় কিলোমিটারের মধ্যে মাত্র ৭৫ মিটার এলাকায় ৫০ লাখ টাকা ব্যায়ে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।

flood

পাউবো কর্মকর্তাদের দাবি ভাঙন ঠেকাতে ছোট ছোট প্রকল্প পাস করাতে হচ্ছে। কারণ বড় প্রকল্প দিলে সেগুলো পাস হয় না। তাই কাজ ধীরগতিতে হচ্ছে।

ভুঞাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঝোটন চন্দ জানান, যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে গোবিন্দাসী ইউনিয়নের তিনগ্রামে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। যারা বাড়িঘর হারিয়েছেন তাদের তালিকা তৈরি ও সহায়তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

flood

টাঙ্গাইল পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, ভূঞাপুর অংশে যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপর প্রবাহিত হচ্ছে। উপজেলার ভাঙন কবলিত দেড় কিলোমিটার এলাকার মধ্যে ৭৫ মিটারে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। নতুন করে আরও ৭৫ মিটার এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলার প্রকল্প গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।

আরিফ উর রহমান টগর/এমএমজেড/জেআইএম

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।