দেশে আরও মুজিব কেল্লা ও আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক বগুড়া
প্রকাশিত: ১০:০০ পিএম, ২২ জুলাই ২০১৯

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান বলেছেন, বন্যার সময় মানুষ যাতে নিরাপদ স্থানে পশু ও সম্পদ নিয়ে আশ্রয় নিতে পারে সেজন্য দেশে আরও মুজিব কেল্লা ও আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিশ্বে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলাদেশ। ভাটি অঞ্চল হিসেবে উজান থেকে আসা বন্যার পানি হয়ত ঠেকানো যাবে না, কিন্তু আমাদের লক্ষ্য থাকবে বন্যায় কী করে ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনা যায়।

সোমবার সন্ধ্যায় বগুড়া জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির বিশেষ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা এই জেলার জন্য ৫০০ পিস তাঁবু পাঠিয়েছি যাতে করে খোলা আকাশের নিচে কাউকে থাকতে না হয়। প্রয়োজনে আরও শুকনো খাবার ও তাঁবু পাঠানো হবে।

বগুড়ার জেলা প্রশাসক ফয়েজ আহাম্মদের সভাপতিত্বে সভায় পানিসম্পদ উপমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম বলেন, বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই। আওয়ামী লীগ মানবতার দল। সরকারের সঙ্গে দল সম্পৃক্ত হলে মানুষ বেশি সেবা পাবে। আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনকে বন্যা মোকাবিলায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। বন্যাদুর্গত অঞ্চলে ত্রাণের কোনো সমস্যা নেই।

তিনি আরও বলেন, বগুড়ার উন্নয়নে কয়েক হাজার কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। আগামীতে জেলাভিত্তিক বাজেট তৈরি করবে সরকার। বগুড়ায় গত ১০ বছরে যে উন্নয়ন হয়েছে তা অন্য সময়ে হয়নি। বগুড়ার বাঙালি, নাগর ও যমুনা নদীর ভাঙন রোধ করতে সরকার বেশ কিছু পরিকল্পনা নিয়েছে। এই পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়িত হলে ভবিষ্যতে এ জেলায় বন্যার ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যাবে।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, বগুড়া-১ আসনের সংসদ সদস্য কৃষিবিদ আব্দুল মান্নান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব শাহ কামাল প্রমুখ।

সভায় জানানো হয়, বাঙালি ও যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় প্লাবিত হয়েছে সারিয়াকান্দি, সোনাতলা, ধুনট উপজেলার ২২টি ইউনিয়নের ১৭৯টি গ্রাম। নদী ভাঙনের ছোবলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সোনাতলা ও ধুনট উপজেলার ২০৫টি ঘরবাড়ি। আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সারিয়াকান্দি, সোনাতলা ও ধুনট উপজেলার ৯৫০টি ঘরবাড়ি। ৩ হাজার ৬৯২ জন বানভাসি মানুষ বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নেয়ার পাশাপাশি বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে ১১ হাজার ৬০০ জন বন্যাদুর্গত।

জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যা মোকাবেলায় অতিরিক্ত চাহিদা হিসেবে জিআর ৩০০ মেট্রিক টন চাল, নগদ অর্থ হিসেবে ২০ লাখ টাকা, শুকনো খাবার আরও পাঁচ হাজার প্যাকেট, ৪ হাজার পিস তাঁবু, ভারী পলিথিন ৮ হাজার পিস, ৮০ মেট্রিক টন পশুখাদ্য কিংবা সমপরিমাণ অর্থ, শিশু খাদ্য এবং আনুষঙ্গিক ব্যয় নির্বাহের জন্য বাড়তি অর্থ বরাদ্দের চাহিদাপত্র দেয়া হয়েছে।

লিমন বাসার/আরএআর/জেআইএম

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।