এফআর টাওয়ারের দু’রকম নকশা, বৈঠকে তদন্ত কমিটি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১:৪৬ পিএম, ০৩ এপ্রিল ২০১৯

বনানীতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত এফআর টাওয়ার নিয়ে দ্বিতীয় দফায় বৈঠক করেছে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি। এর আগে এফআর টাওয়ারের দুটি নকশা হাতে পান তারা। একটি নকশায় ভবনটিকে ১৮ তলা ও অন্যটি ২৩ তলা দেখানো হয়েছে।

রাজধানীর বনানী মডেল টাউনের কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউতে অগ্নিদুর্ঘটনায় পতিত এফআর টাওয়ারের নকশা অনুমোদন এবং ‍নির্মাণ সংক্রান্ত ত্রুটি-বিচ্যুতি তদন্তে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের আট সদস্যের তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে গত শনিবার (৩০ মার্চ)।

গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিমের নির্দেশে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) মো. ইয়াকুব আলী পাটওয়ারীকে আহ্বায়ক এবং মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব মো. ফাহিমুল ইসলামকে সদস্য সচিব করে ৮ (আট) সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়।

আরও পড়ুন-বনানীর আগুনে নিহত আহত হয়েছেন যারা

এ কমিটির অপর ৬ (ছয়) জন সদস্য হলেন- স্থাপত্য অধিদফতরের প্রধান স্থপতি কাজী গোলাম নাসীর, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সদস্য (পরিকল্পনা) মো. সাঈদ নূর আলম, গণপূর্ত অধিদফতরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ড. মো. মইনুল ইসলাম, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ যুবায়ের সালেহীন এবং রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) নগর পরিকল্পনাবিদ মো. আশরাফুল ইসলাম।

বিষয়টি জানিয়েছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ইফতেখার হোসেন।

আরও পড়ুন-প্রথম জীবনের মৃত্যু হয়েছে, দ্বিতীয় জীবন পেলাম 

গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, তদন্ত কমিটি এ পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে দুটি বৈঠক করেছে। প্রথম বৈঠকে ভবনটি সম্পর্কে কী কী তথ্য সংগ্রহ করা হবে, তা ঠিক করা হয়। যার মধ্যে ছিল নকশা অনুমোদনের সঙ্গে রাজউকের কোন কোন কর্মকর্তা জড়িত ছিলেন। ভবনটি নির্মাণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট স্থপতি ও প্রকৌশলী কে যুক্ত ছিলেন। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ওই ভবনটির উচ্চতা কত রাখতে বলেছিল। ভবনটি নির্মাণের সময় ওই এলাকায় রাজউকের কারা দায়িত্বে ছিলেন।

তদন্ত কমিটি সূত্রে জানা গেছে, এফআর টাওয়ারের তদন্তের কাজে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ও ভবন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় দলিলপত্র চাওয়া হয়। ভবন কর্তৃপক্ষ তদন্ত কমিটির কাছে একটি নকশা জমা দিয়েছে। তাতে ভবনের উচ্চতা ২৩ তলা দেখানো হয়েছে। কিন্তু রাজউক তদন্ত কমিটিকে যে নকশা দিয়েছে তাতে উচ্চতা ১৮ তলা বলা আছে। প্রাথমিকভাবে ১৮ তলার নকশাটি তাদের কাছে আসল বলে মনে হয়েছে। ২৩ তলার নকশাটি সঠিক কি-না, সে সংক্রান্ত কাগজপত্রও রাজউক থেকে চাওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন- থাইগ্লাসে ‘মৃত্যুকূপে’ পরিণত হয়েছিল এফআর টাওয়ার

এদিকে গঠিত কমিটি সম্পর্কে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম বলেছিলেন, ‘তদন্ত কমিটি এফআর টাওয়ারের প্লান অনুমোদনের প্রক্রিয়ার ভেতরে কোনো নিয়মের ব্যাত্যয় ঘটেছে কিনা, অনুমোদিত প্লানের বাইরে বির্ল্ডিং নির্মাণ হয়েছে কি-না, হয়ে থাকলে এর সঙ্গে কারা কারা জড়িত, ডেভেলপার, ভবন মালিক এমনকি আমাদের সংস্থার কেউ জড়িত থাকলে তার সম্পর্কে প্রতিবেদন দেবেন।’

গত বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বনানীর কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউয়ের পাশের ১৭ নম্বর সড়কে এফআর টাওয়ারে ভয়াবহ আগুনে ২৬ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন অনেকে। এর আগে ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে পুরান ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টায় অগ্নিকাণ্ডে ৭১ জন নিহত হন।

এএস/এআর/আরআইপি

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।