এফআর টাওয়ার নির্মাণে রাজউকের দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তারা জড়িত

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৭:৩৬ পিএম, ৩০ মার্চ ২০১৯

বিল্ডিং কোড অনুসরণ না করায় রাজধানীর এফআর টাওয়ারের মালিককে গ্রেফতার করার দাবি জানিয়ে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম বলেন, বিল্ডিং কোড না মেনে ১৮ তলার জায়গায় ২৩ তলা বানিয়েছে। মালিকও চিহ্নিত হয়েছেন। তার ভেতরে কোনো মমত্ববোধ নেই। অর্থের বিনিময়ে কাজ করেছে, শুধু ভবন তৈরি করেছে। এই ভবনের বাইরে যাওয়ার কোনো সিঁড়ি নেই। ওই টাওয়ার মালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

বনানীর আগুনে আহতদের দেখতে শনিবার মোহাম্মদ নাসিমের নেতৃত্বে ১৪ দলের নেতারা ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে যান। এ সময় আহত রোগীর স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন ও চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেন।

নাসিম বলেন, বনানীর এফআর টাওয়ার নির্মাণের সঙ্গে রাজউকের দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তারাও জড়িত। প্রকাশ্যে এসব চিহ্নিত ব্যক্তিকে প্রজ্ঞাপন দিয়ে বিচারের আওতায় আনতে হবে। এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডে আহত ছয়জন ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন আছেন।

নাসিম আরও বলেন, রাজউকে অব্যবস্থাপনা দীর্ঘদিন ধরে চলছে। বেশি কথা না বলে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। দ্রুত তদন্ত করে তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে হবে। হাইকোর্ট, উকিল ও বিচারপতিদের বলব, এই সমস্ত আইন অমান্যকারীদের যেন উৎসাহী না করে। অনেক উকিল টাকা খেয়ে আইন অমান্যকারীদের পক্ষে কাজ করেন।

তিনি বলেন, যারা আগুনের ঘটনায় মারা গেছেন তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। আহতদের প্রতি সহানুভূতি জানাচ্ছি। আহতদের সুস্থ করতে চিকিৎসকরা যেভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন এ জন্য তাদের ধন্যবাদ জানাই।

নাসিম বলেন, বনানীর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ছয়জন রোগী ছাড়াও আরও একজন জরুরি বিভাগের জেনারেল আইসিইউতে আছেন। তার অবস্থা মোটামুটি স্ট্যাবল, তবে শঙ্কামুক্ত নয়।

এ সময় সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, জাতীয় পার্টির (জেপি) প্রেসিডিয়াম সদস্য এজাজ আহমেদ মুক্তা, ঢামেক বার্ন ইউনিটের প্রধান সমন্বয়ক অধ্যাপক ডা. সামন্তলাল সেন, ঢামেক বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এফএইচএস/এইউএ/বিএ/জেআইএম

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।