৭৫ বছরে এমন দিন দেখেনি ইসরায়েল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:৪৯ পিএম, ০৭ অক্টোবর ২০২৩
ছবি: সংগৃহীত

গাজা উপ্যতকায় ইসরায়েলিদের অবৈধ বসতি লক্ষ্য করে শনিবার (৭ অক্টোবর) আকস্মিক হামলা চালিয়েছে ফিলিস্তিনের গাজাভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। যুদ্ধ পরিস্থিতি ঘোষণার পর পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলও, চলছে যুদ্ধ। উভয় পক্ষের হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ১০০ ইসরায়েলি ও ১৯৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

তাছাড়া এদিন হামাসের প্রায় ১ হাজার সশস্ত্র যোদ্ধা ইসরায়েলের দখলকৃত অঞ্চলে ঢুকে পড়ে ও ইসরায়েলি সেনাদের উপর হামলা চালায়। সেসময় ওই অঞ্চলে দায়িত্বরত উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সেনাসদস্যসহ অবৈধ বসতিস্থাপনকারীদের জিম্মি করে গাজা উপত্যকায় নিয়ে যায় হামাসের যোদ্ধারা।

আরও পড়ুন: ইসরায়েলে ঢুকে ইসরায়েলি সেনাদের ধরে নিয়ে গেলো হামাস

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, ১৯৪৮ সালের পর গত ৭৫ বছরে এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হয়নি দখলদার ইসরায়েলকে। সংবাদমাধ্যমটির আন্তর্জাতিক বিভাগের সম্পাদক জেরেমি বাওয়েন বলেছেন, ১৫ বছর আগে হামাস গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ নিলেও এমন হামলা এবারই প্রথম। দুই পক্ষের মধ্যে প্রায়ই সংঘর্ষ হয়, কিন্তু সেগুলো মূলত জেরুজালেম থেকে শুরু করে জর্ডানের সীমান্ত পর্যন্ত বিস্তৃত পশ্চিম তীরে হয়ে থাকে।

তবে শনিবার (৭ অক্টোবর) সকালে হামাসের শত শত যোদ্ধা এভাবে ইসরায়েলে ঢুকে পড়বে, তা ইসরায়েলিদের কল্পনাতেও ছিল না। এমনকি, হামাসের সদস্যরা চেকপোস্টে থাকা ইসরায়েলি সেনাদের যেভাবে গাজায় নিজেদের নিয়ন্ত্রিত স্থানে ধরে নিয়ে গেছেন, সেটিও অত্যন্ত বিষ্ময়কর।

আরও পড়ুন: নেতানিয়াহুর কাছে বাইডেনের ফোন, বললেন ‘পাশে আছি’

হামাসের এমন হামলার পর প্রশ্ন উঠেছে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সক্ষমতা নিয়ে। গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ ও সংরক্ষণের দিক দিয়ে ইসরায়েলকে বিশ্বের সেরা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। অথচ ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীটির এমন সংঘটিত হামলার বিষয়ে আগে থেকে কোনো তথ্যই জানতে পারেনি তেল আবিব! বিবিসির প্রশ্নের জবাবে ইসরায়েলি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ ঘটনা কীভাবে ঘটলো, তা নিয়ে তাদের কোনো ধারণাই নেই।

সূত্র: বিবিসি, আল জাজিরা

এসএএইচ

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।