গাজায় ‘ভালো ব্যবহার’ পেয়েছি, বললেন মুক্তি পাওয়া ইসরায়েলি নারী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:০৭ এএম, ২৫ অক্টোবর ২০২৩
ছবি সংগৃহীত

হামাসের হাতে অপহৃত হওয়ার সময়টা ভয়ংকর হলেও গাজায় জিম্মি অবস্থায় তাদের কাছ থেকে ‘ভালো ব্যবহার’ পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন মুক্তিপ্রাপ্ত এক ইসরায়েলি নারী। তিনি বলেছেন, বন্দিদশায় তাদের যেন কোনো সমস্যা না হয়, তার সব বন্দোবস্ত করে রেখেছিল ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠীটি।

‘মানবিক কারণে’ গত সোমবার (২৩ অক্টোবর) আরও দুই ইসরায়েলি নারীকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। তারা হলেন ৮৫ বছর বয়সী ইয়োচেভেদ লিফশিৎজ এবং ৭৯ বছর বয়সী নুরিত কুপার। তাদের মুক্তির বিষয়ে মধ্যস্থতা করেছে কাতার ও মিশর।

আরও পড়ুন>> ইসরায়েলে ঢুকে ইসরায়েলি সেনাদের ধরে নিয়ে গেলো হামাস

এ নিয়ে মোট চার জিম্মিকে মুক্তি দিলো হামাস। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে অন্তত ২১৮ জনকে জিম্মি করেছিলেন ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা।

‘ওরা প্রস্তুত ছিল’
ছাড়া পাওয়ার একদিন পরে গত মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন লিফশিৎজ। তেল আবিবে একটি হাসপাতালের সামনে হুইলচেয়ারে বসে কথা বলেন তিনি।

অপহৃত হওয়ার ঘটনা সম্পর্কে এ ইসরায়েলি বৃদ্ধা জানান, যখন বাইকে ছিলাম, তখন আমার মাথা একপাশে আর শরীরের বাকি অংশ অন্য পাশে ছিল। তরুণ যোদ্ধারা পথে আমাকে আঘাত করেছিল। তারা আমার পাঁজর ভাঙেনি, তবে এটি যন্ত্রণাদায়ক ছিল এবং আমার শ্বাস নিতে অসুবিধা হচ্ছিল।

আরও পড়ুন>> জিম্মি ইসরায়েলি নারীদের পরিবর্তে বন্দি ফিলিস্তিনিদের চায় হামাস

সেই ভয়ংকর অভিজ্ঞতা সম্পর্কে এ নারী বলেন, আমি জাহান্নামের ভেতর ছিলাম... আমরা কখনো জানতাম না বা ভাবিনিওনি এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হবে।

তবে গাজায় পৌঁছানোর পর অপহরণকারীরা তার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করেন। ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা যে খাবার খেতেন, সেই একই খাবার দেওয়া হতো লিফশিৎজ এবং অন্য জিম্মিদের।

ছাড়া পাওয়ার সময় এক হামাস যোদ্ধার সঙ্গে করমর্দন করেছিলেন ইসরায়েলি এ নারী। এর কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা আমাদের সঙ্গে ভদ্র ব্যবহার করেছিল এবং প্রয়োজনীয় সব কিছু দিয়েছিল।

বৃদ্ধার কথায়, এর জন্য তাদের প্রস্তুত বলে মনে হয়েছিল। তারা দীর্ঘদিন ধরে প্রস্তুতি নিয়েছিল। নারী-পুরুষের যা যা দরকার, যেমন- শ্যাম্পুসহ সব কিছুই ছিল তাদের কাছে।

ইসরায়েলি বাহিনীর ওপর ক্ষোভ
নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় এদিন ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর ক্ষোভও ঝেড়েছেন অপহরণের শিকার হওয়া এই বৃদ্ধা। তার কথায়, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী হামাসের হুমকিকে অবহেলা করেছিল। এছাড়া ব্যয়বহুল নিরাপত্তা বেড়া তাদের কোনো কাজেই আসেনি।

আরও পড়ুন>> গাজায় ঢুকে হামলা চালাতে গিয়ে পালিয়ে এলো ইসরায়েলি সেনারা

লিফশিৎজ বলেন, শিন বেট (ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা) এবং ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) অসচেতনতা আমাদের অনেক ক্ষতি করেছে। ওরা (হামাস) তিন সপ্তাহ আগেই আমাদের সতর্ক করেছিল- তারা ক্ষেত জ্বালিয়ে দিয়েছিল, আগুনের বেলুন পাঠিয়েছিল। কিন্তু আইডিএফ সেগুলোকে গুরুত্বসহকারে দেখেনি।

সূত্র: আল-জাজিরা, সিএনএন
কেএএ/

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।