যত ফিলিস্তিনির মুক্তি, প্রায় ততজনই গ্রেফতার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:২৬ পিএম, ৩০ নভেম্বর ২০২৩
ছবি: সংগৃহীত

গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির অন্যতম শর্ত ছিল, হামাসের হাতে আটক ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগার থেকে তিন গুণ ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দিতে হবে। সে শর্ত মেনে ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দিলেও, যুদ্ধবিরতি চলাকালে অধিকৃত পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেম থেকে প্রায় একই সংখ্যক মানুষকে গ্রেফতার করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।

প্যালেস্টেনিয়ান প্রিজনার্স সোসাইটির তথ্য অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতি চলাকালে প্রথম চার দিনে হামাস ৬৯ জিম্মিকে মুক্তি দেয়। তাদের মধ্যে ইসরায়েলি ৫১ জন ও অন্য দেশের নাগরিক ১৮ জন।

আরও পড়ুন: ফের ইসরায়েল সফরে ব্লিঙ্কেন

অন্যদিকে, একই সময়ের মধ্যে ইসরায়েল থেকে মুক্তি পেয়েছে ১৫০ জন ফিলিস্তিনি। তাদের মধ্যে ১১৭ জন শিশু ও ৩৩ জন নারী। কিন্তু একই সময়ের মধ্যে ১৩৩ জন ফিলিস্তিনিকে গ্রেফতার করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।

প্যালেস্টেনিয়ান প্রিজনার্স সোসাইটির মুখপাত্র আমানি সারাহনেহ বলেন, যতদিন পর্যন্ত ইসরায়েলি দখলদারত্ব বহাল থাকবে, ততদিন ফিলিস্তিনি গ্রেফতার বন্ধ হবে না।

‘এই গ্রেফতারের ঘটনা যে ৭ অক্টোবরের পর থেকেই শুরু হয়েছে এমন নয়, তারা প্রতিদিনই এমন অভিযান চালায়। এমনকি, যুদ্ধবিরতির প্রথম চার দিনে কয়েদি মুক্তির চেয়ে বেশিসংখ্যক ফিলিস্তিনি গ্রেফতার হলেও আমি অবাক হতাম না।’

আরও পড়ুন: আরও ১২ জিম্মি-৩০ ফিলিস্তিনি বন্দির মুক্তি

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস। এতে ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলি নিহত হয় ও জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয় ২৪০ জনকে।

এরপর ওই দিনই গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে ইসরায়েলি বাহিনী টানা ৫১ দিন ধরে ‘বর্বর’ হামলা চালানোর পর কাতারের মধ্যস্থতায় গত শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। এর আগে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ১৫ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়, যাদের বেশির ভাগই শিশু ও নারী।

আরও পড়ুন: যুদ্ধবিরতির মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েলকে কঠোর হুঁশিয়ারি ইরানের

৭ অক্টোবরের আগে ইসরায়েলি কারাগারে ছিল ৫ হাজার ২০০ ফিলিস্তিনি। হামলার পরবর্তী দুই সপ্তাহে পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে ধরপাকড় বাড়ায় ইসরায়েলি বাহিনী। এতে মাত্র দুই সপ্তাহের ব্যবধানে ইসরায়েলের কারাগারে ফিলিস্তিনি কয়েদি প্রায় দ্বিগুণ হয় ও সংখ্যায় তা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যায়।

ফিলিস্তিনি কয়েদিদের আইনজীবী ও পর্যবেক্ষণকারী বিভিন্ন সংস্থা বলেছে, ৭ অক্টোবরের পর পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেম থেকে ৩ হাজার ২৯০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: ইলন মাস্ককে গাজায় আমন্ত্রণ জানালো হামাস

এদিকে, ফিলিস্তিনিরা বলছেন, ইসরায়েল আমাদের বন্দিদের মুক্তি দেওয়ার পর আবার গ্রেফতার করে। এমনকি, মুক্তি দেওয়ার কয়েক দিনের মধ্যে আবার গ্রেফতার করার নজিরও রয়েছে। ২০১১ সালে ইসরায়েল-হামাসের বন্দিবিনিময়ের ইতিহাস তা-ই বলে। তাই তারা এখনো শঙ্কা থেকে বের হয়ে আসতে পারছেন না।

সূত্র: আল জাজিরা

এসএএইচ

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।