সীমান্তবেড়া ভেঙে ইসরায়েলে প্রবেশ করেছে হামাস যোদ্ধারা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:৫৮ পিএম, ০৭ অক্টোবর ২০২৩
ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েলে হঠাৎ তীব্র আক্রমণ শুরু করেছে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এতে অন্তত ২২ ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন পাঁচশ জনেরও বেশি। হামলার পাশাপাশি হামাসের যোদ্ধারা সীমান্ত পেরিয়ে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলের একাধিক শহরে ঢুকে পড়েছে। গাজা উপত্যকার ক্ষমতাসীন এই গোষ্ঠীর সশস্ত্র সদস্যরা মোটরসাইকেল, এসইউভি ও প্যারাগ্লাইডার ব্যবহার করে ইসরায়েলে প্রবেশ করেছে; যা সাম্প্রতিক ইতিহাসে নজিরবিহীন।

আসুন জেনে নেওয়া যাক ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের মধ্যে যে সাতটি ক্রসিং রয়েছে:

রাফাহ ক্রসিং: রাফাহ ক্রসিং মিশর ও গাজার মধ্যে পারপার হওয়ার একমাত্র পথ। এই ক্রসিংটি গাজা ও বাকি আরব বিশ্বের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ হিসেবে কাজ করে। বিশেষ করে, ২০০১ সালে ইসরায়েলি বাহিনী ইয়াসির আরাফাত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ধ্বংস করার পর থেকে এই ক্রসিংটি খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

বেইত হ্যানুন ক্রসিং: এটি গাজা উপত্যকার উত্তরে অবস্থিত ও পুরোপুরি ইসরায়েলি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এটি একমাত্র সীমান্ত ক্রসিং, যার মাধ্যমে গাজার ফিলিস্তিনিরা মিশর কিংবা জর্ডানেরে মধ্য দিয়ে না গিয়েও অধিকৃত পশ্চিম তীরে যাতায়াত করতে পারেন।

আরও পড়ুন: হামাসের ঘাঁটি লক্ষ্য করে ব্যাপক হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল

কারেম আবু সালেম (কেরেম শালোম) ক্রসিং: এটি মিশর, গাজা ও ইসরায়েলের মধ্যকার সীমানা যেখানে মিলিত হয় তার কাছাকাছি অবস্থিত। এই ক্রসিংটি রাফাহ ক্রসিংয়ের বিকল্প হিসেবে কাজ করে।

আল-মুন্তার (কারনি) ক্রসিং: এটি গাজার উত্তর-পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত ও গাজা-ইসরায়েলের মধ্যে পণ্য স্থানান্তরের জন্য ব্যবহার করা হতো। তবে ২০০৫ সালের আগ পর্যন্ত ক্রসিংটি গাজায় ইসরায়েলি বসতি স্থাপনের জন্য ব্যবহার করা হয়।

আল-আওদাহ (সুফা) ক্রসিং: পূর্ব রাফাতে অবস্থিত এ ক্রসিং গাজার সবচেয়ে ছোট ক্রসিংগুলির মধ্যে একটি। আগে এটি বসতি স্থাপনের নির্মাণসামগ্রীর জন্য ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবে ব্যবহার করা হতো। তবে ২০০৮ সালে ইসরায়েল এটি বন্ধ করে দেয়।

আরও পড়ুন: সীমান্তবেড়া ভেঙে ইসরায়েলে প্রবেশ করেছে হামাস যোদ্ধারা

আল-শুজাইয়াহ (নাহাল ওজ) ক্রসিং: এই ক্রসিংয়ের মাধ্যমে ভূগর্ভস্থ পাইপ দিয়ে গাজায় গ্যাস, বেনজিন ও ডিজেলের মতো জ্বালানি পরিবহন করা হতো। ২০১০ সালে সালে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ ক্রসিংটি বন্ধ করে দেয়।

আল-কাররা (কিসুফিম) ক্রসিং: এটি খান ইউনিস ও দেইর আল-বালাহ এর পূর্বদিকে অবস্থিত। ২০০৫ সালে এ ক্রসিংটি বন্ধ হয়ে যায় ও এখন বিভিন্ন সামরিক উদ্দেশ্যে এটিকে ব্যবহার কর ইসরায়েল।

সূত্র: আল জাজিরা

এসএএইচ

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।