যুদ্ধ শেষে গাজাকে স্বাধীন ফিলিস্তিনের অংশ হতে হবে: এরদোয়ান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:২৬ পিএম, ০৪ নভেম্বর ২০২৩
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান /ছবি: সংগৃহীত

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান বলেছেন, হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ শেষ হলে গাজাকে অবশ্যই স্বাধীন ফিলিস্তিনের অংশ হতে হবে। ইতিহাস থেকে ফিলিস্তিনিদের মুছে ফেলার মডেলকে ‍তুরস্ক কখনোই সমর্থন দেবে না। শুক্রবার (৩ নভেম্বর) কাজাখস্তান সফর শেষে দেশে ফিরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

আরও পড়ুন: তুরস্ক থেকে কূটনীতিকদের সরিয়ে নিলো ইসরায়েল

বিমানবন্দরে উপস্থিত সাংবাদিকদের এরদোয়ান বলেন, এখন থেকে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে নিজের ‘সহকর্মী’ হিসেবে বিবেচনা করবো না। তাকে আমরা বাতিলের খাতায় ফেলে দিয়েছি। তবে ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার মতো সিদ্ধান্ত এখন নেবে না তুরস্ক। আন্তর্জাতিক কূটনীতি বিবেচনায় সম্পূর্ণভাবে সম্পর্ক ছিন্ন করা সম্ভব নয়।

তিনি আরও বলেন, আমাদের গোয়েন্দা প্রধান ইব্রাহিম কালিন ফিলিস্তিন, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ ও হামাসের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। যুদ্ধের প্রাথমিক দায় নেতানিয়াহুকেই বহন করতে হবে। ইসরায়েলকে এখন ‘যুদ্ধাপরাধী ও মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী’ হিসেবে জবাবদিহিতার আওতায় না আনা হলে বৈশ্বিক ব্যবস্থার ওপর আর কোনো আস্থা থাকবে না।

আরও পড়ুন: গাজায় আর কোনো জায়গাই নিরাপদ নেই: জাতিসংঘ

হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ভূমিকাকেও সমালোচনা করেছেন এরদোয়ান। বলেছেন, গাজার বর্তমান পরিস্থিতি ও এই যুদ্ধে ইইউ ন্যায়ের পক্ষে অবস্থান নেয়নি। এ কারণে ইইউয়ের উপর মানুষের যে আস্থা ছিল, সেটা নষ্ট হয়ে গেছে। ইউরোপের দেশগুলো ইসরায়েলের প্রতি যে সমর্থন জানাচ্ছে, তা তারা করছে ইহুদিদের ওপর চালানো গণহত্যার (হোলোকাস্ট) ঋণ থেকে।

হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ বাধার পর পশ্চিমা দেশগুলো ইসরায়েলকে একতরফা সমর্থন জানিয়েছে। এমনকি, গাজায় ইসরায়েল গণহত্যা চালালেও, তা নিয়ে চুপ রয়েছে তারা। কিন্তু এক্ষেত্রে ভিন্ন অবস্থান নিয়েছে তুরস্ক। দেশটির প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান যুদ্ধ শুরুর পর বিভিন্ন বক্তব্যে বরাবরই বলেছেন, হামাস কোনো সন্ত্রাসী দল নয় বরং স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী।

আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনকে সাড়ে ৬ কোটি ডলার মানবিক সহায়তা দেবে জাপান

গত সপ্তাহে ইসরায়েল জানায়, গাজায় যুদ্ধ নিয়ে তুরস্কের ক্রমবর্ধমান উত্তপ্ত বক্তব্যের জেরে আঙ্কারার সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃমূল্যায়ন করছে তেল আবিব। তাছাড়া নিরাপত্তা সতর্কতা হিসেবে তুরস্ক ও মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশ থেকে সব কূটনীতিকদের প্রত্যাহার করে নিয়েছিল ইসরায়েল।

সূত্র: রয়টার্স, দ্য গার্ডিয়ান

এসএএইচ

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।