ফিলিস্তিনের পক্ষে দাঁড়ালো চীন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:২৪ পিএম, ০৮ অক্টোবর ২০২৩
ছবি: সংগৃহীত

দ্বিতীয় দিনে পা দিলো ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ। এতে হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহতের সংখ্যা ৪০০ ছুঁয়েছে। আর গাজায় ইসরায়েলিদের পাল্টা হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ৩২০ জন ফিলিস্তিনি। এরই মধ্যে আবারও ইসরায়েলে ঢুকে পড়েছে ফিলিস্তিনের যোদ্ধারা। বিভিন্ন জায়গায় দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক যুদ্ধ চলছে।

এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতারা এ সংঘাত বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানিসহ পশ্চিমা দেশগুলোর অধিকাংশই ইসরায়েলের পাশে অবস্থান নিয়েছে। তবে এই সংঘাতের অবসানে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন দুটি আলাদা স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাকেই একমাত্র সমাধান হিসেবে বিবেচনা করছে চীন।

রোববার (৮ অক্টোবর) চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে ফিলিস্তিন-ইসরায়েল যুদ্ধের বিষয়টি উঠে আসে। এ সময় এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ফিলিস্তিন-ইসরায়েলের বর্তমান উত্তেজনা ও সহিংসতার ঘটনায় বেইজিং গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আমরা উভয় পক্ষকে শান্ত ও সংযম ধরে রাখার আহ্বান জানাই।

তিনি আরও বলেন, সংঘাত বৃদ্ধির ফলে শান্তি প্রক্রিয়ায় দীর্ঘস্থায়ী স্থবিরতা দেখা দিতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের বাস্তবায়ন ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাই চলমান সংকট থেকে মুক্তির একমাত্র উপায়।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আরও বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে দ্রুত স্থায়ী শান্তির উপায় খুঁজে বের করতে হবে। স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় আলোচনা বাড়ানোর পাশাপাশি ফিলিস্তিন-ইসরায়েলের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার আলোচনা পুনরায় শুরুর প্রক্রিয়া সহজ করতে হবে।

এদিকে, ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতে চীনের এই অবস্থানে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে তেল আবিব। বেইজিংয়ে নিযুক্ত ইসরায়েলের দূতাবাসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ইউভাল ওয়াকস বলেন, ইসরায়েল চীনকে ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে দেখে, তাই আমরা চীনের কাছ থেকে হামাসের এ হামলার বিষয়ে ‘কঠোর নিন্দা’ আশা করেছিলাম। এখন দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের আহ্বান জানানোর সময় না।

শনিবার (৭ অক্টোবর) থেকে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে পাঁচ হাজারেরও বেশি রকেট হামলা চালিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এতেই থেমে থাকেনি হামাস যোদ্ধারা। সীমানা প্রাচীর ভেঙে ইসরায়েলের অভ্যন্তরেও ঢুকে পড়েছেন তারা।

এরপরই শুরু হয় দুই পক্ষের ব্যাপক লড়াই। ইসরায়েলের মধ্যে বেশ কিছু এলাকায় তুমুল লড়াই চলছে। তাছাড়া গাজার বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে পাল্টা হামালা চালাচ্ছে ইসরায়েল। ফিলিস্তিনে নিহতের সংখ্যা তিনশ ছাড়িয়েছে।

একই সঙ্গে ইসরায়েলেও হু হু করে বাড়ছে নিহতের সংখ্যা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ইসরায়েলে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫০০ ছাড়িয়েছে। নিহতের মধ্য সাধারণ মানুষের পাশাপাশি সামরিক বাহিনীর সদস্যও রয়েছে।

সময় যত গড়াচ্ছে পরিস্থিতির তত অবনতি হচ্ছে। হামাস ও ইসরায়েলি বাহিনীর মধ্যে তীব্র লড়াই অব্যাহত রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে গাজার সীমান্তবর্তী বিভিন্ন শহর থেকে নিজেদের নাগরিকদের সরিয়ে নিচ্ছে ইসরায়েল।

এদিকে, সাধারণ মানুষকে চলমান লড়াইয়ে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের সামরিক শাখা। হামাসের আল-কাসেম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু ওবেদা নতুন এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানান।

সূত্র: আল জাজিরা

এসএএইচ

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।