১৭ বছর পর দেশে জুবাইদা রহমান, উঠবেন ধানমন্ডিতে বাবার বাসায়
দীর্ঘ ১৭ বছর পর যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পুত্রবধূ ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান।
মঙ্গলবার (৬ মে) সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে কাতারের আমিরের দেওয়া বিশেষ রাজকীয় বিমানে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি।
ধানমন্ডিতে জুবাইদার বাবার বাসভবন
ওই বিমানে লন্ডনে প্রায় চার মাস চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। সঙ্গে এসেছেন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শামিলা রহমান।
আরও পড়ুন
জুবাইদার দেশে ফেরার খবরে ঢাকার ধানমন্ডির ৫ নম্বর সড়কের ‘মাহবুব ভবন’-এ গত কদিন ধরেই চলছিল সাজসজ্জা আর গোছগাছের কাজ। এটি তার বাবা সাবেক নৌবাহিনী প্রধান রিয়াল অ্যাডমিরাল মাহবুব আলী খানের বাসভবন।
পরিবারের সঙ্গে জুবাইদা রহমান
তিনি বাবার ধানমন্ডির ওই বাড়িতেই উঠবেন। ভবনটিতে বর্তমানে মাহবুব আলী খানের স্ত্রী সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানু এবং বড় মেয়ে শাহীনা জামান ও তার পরিবারের সদস্যরা থাকেন। সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানু সম্প্রতি রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি হন।
১৭ বছর আগে ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর তারেক রহমানের সঙ্গে দেশ ছেড়েছিলেন জুবাইদা রহমান।
ওয়ান ইলেভেনের পর জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৮ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তারেক রহমান, জুবাইদা রহমান ও ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে রাজধানীর কাফরুল থানায় একটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন। ওই মামলায় জুবাইদা রহমানকে তিন বছরের কারাদণ্ড ও ৩৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেয় ঢাকার একটি আদালত।
লন্ডন ছাড়ার আগে হিথ্রো বিমানবন্দরে স্বামী-সন্তানের সঙ্গে জুবাইদা রহমান
গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর জুবাইদার ওই সাজা স্থগিত করে আদালত।
আরও পড়ুন
- খালেদা জিয়াকে শুভেচ্ছা জানাতে পথে পথে নেতাকর্মীদের ঢল
তারেক-জুবাইদা দেশের মানুষকে সুখে-শান্তিতে রাখবে
সিলেটে জন্ম নেওয়া জুবাইদা ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস সম্পন্ন করে ১৯৯৫ সালে বিসিএস পরীক্ষায় স্বাস্থ্য ক্যাডারে প্রথম স্থান অধিকার করে সরকারি চিকিৎসক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ২০০৮ সালে শিক্ষা ছুটি নিয়ে লন্ডন যাওয়া পর সরকার তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে। পরে তিনি সেখানকার ইম্পেরিয়াল কলেজ থেকে মেডিসিনে এমএসসি ডিগ্রি নেন।
জুবাইদার বাবা রিয়ার অ্যাডমিরাল মাহবুব আলী খান ১৯৭৮ সালের ৪ নভেম্বর থেকে ১৯৮৪ সালের ৬ অগাস্ট পর্যন্ত বাংলাদেশের নৌবাহিনীর প্রধান ছিলেন। এরপর হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সরকারের সময়ে তিনি যোগাযোগ ও কৃষিমন্ত্রী ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল এম এ জি ওসমানী জুবাইদা রহমানের চাচা।
এমকেআর/জেআইএম