নাহিদ ইসলাম

গণতান্ত্রিক সংগ্রামের এক অনন্য অনুপ্রেরণা খালেদা জিয়া

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:৩২ এএম, ২৯ নভেম্বর ২০২৫
খালেদা জিয়ার সঙ্গে সম্প্রতি দেখা হওয়ার একটি ছবি শেয়ার করেন নাহিদ ইসলাম, ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। খালেদা জিয়ার এমন অবস্থায় উদ্বেগ প্রকাশ করে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক সংগ্রামের এক অনন্য অনুপ্রেরণা।

তিনি তার ফেসবুক পোস্টে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সম্প্রতি দেখা হওয়ার একটি ছবি শেয়ার করে আরও লেখেন, দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় স্বার্থ রক্ষার আন্দোলনে তিনি কয়েক দশক ধরে অবিচল ভূমিকা পালন করেছেন। ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রচক্রের লাগাতার নির্যাতন, মিথ্যা মামলার পরিক্রমা এবং রাজনৈতিক প্রতিহিংসার ভয়াবহতার মাঝেও তাঁর অটল মনোবল ও আপোষহীন অবস্থান বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ইতিহাসে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

নাহিদ ইসলাম লেখেন, ১৯৯০ এর গণঅভ্যুত্থান, স্বৈরতন্ত্রবিরোধী সংগ্রাম এবং পরবর্তী সময়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের প্রত্যেকটি পর্বে বেগম খালেদা জিয়ার দৃঢ়তা, দেশপ্রেম ও নেতৃত্ব জাতীয় জীবনে গভীর প্রভাব রেখেছে। বাংলাদেশের বহু প্রজন্ম তাঁকে দেখেছে সাহস, সহনশীলতা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতীক হিসেবে।

তিনি আরও লেখেন, বেগম খালেদা জিয়ার বর্তমান শারীরিক অবস্থায় আমরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি এবং এই সময়ে তাঁর পরিবারের প্রতি আন্তরিক সহমর্মিতা জানাচ্ছি।

গণতান্ত্রিক সংগ্রামের এক অনন্য অনুপ্রেরণা খালেদা জিয়া

খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করে তিনি আরও লেখেন, মহান আল্লাহ তা’আলার কাছে তাঁর পূর্ণ আরোগ্য ও সুস্থতা কামনা করি। এই গণতান্ত্রিক উত্তরণের সংকটময় সময়, যখন দেশ পুনরায় গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থার দিকে অগ্রসর হচ্ছে, সে প্রেক্ষাপটে বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক উপস্থিতি ও রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা জাতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রায় তাঁর দীর্ঘ অবদান স্মরণ করে আমরা তাঁর শীঘ্র সুস্থতা, দীর্ঘায়ু ও মঙ্গল কামনা করি।

এসএনআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।