শেখ হাসিনার মামলার রায় পড়া শুরু

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২:৩৫ পিএম, ১৭ নভেম্বর ২০২৫
শেখ হাসিনা/ফাইল ছবি

জুলাই-আগস্টে গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে করা মামলার রায় পড়া শুরু হয়েছে। মামলায় শেখ হাসিনার সঙ্গে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুনও আসামি। তাদের মধ্যে মামুন দায় স্বীকার করে রাজসাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন।

বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই মামলার রায় ঘোষণা করবেন।
এই ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন, বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে জুলাই-আগস্টের সংঘটিত হত্যার ঘটনায় জাতিসংঘের প্রতিবেদন, অডিও ভিডিও এবং অন্যান্য এভিডেন্সের ভিত্তিতে আজকে ৪৫৩ পৃষ্ঠার রায় ঘোষণা করা হচ্ছে। রায়ের সংক্ষিপ্ত অংশ পড়া হবে।

ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম শুরুর আগে দুপুর ১২টা ৩০ মিমিটের দিকে এজলাসে আসন গ্রহণ করেন বিচারক। এরপর ওবায়দুল মুক্তাদির নামের এক আসামির মামলার শুনানি করে পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন। এরপর রামপুরায় কার্নিশে ঝুলে থাকা ছাত্রকে গুলি করার ঘটনার মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেন।

তারপর রায় ঘোষণার আগে রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান আইনজীবী চিফ প্রসিকিউটর, সাংবাদিক, তদন্ত সংস্থা, রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল, ট্রাইব্যুনালের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শহীদ পরিবারের সদস্যসহ সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে রায় ঘোষণাার কথা জানান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারিক প্যানেল।

এরপর ১২টা ৪৫ মিনিট থেকে ট্রাইব্যুনালের সদস্য বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী রায় পড়া শুরু করেন। রায়ের মাঝের অংশ পড়বেন ট্রাইব্যুনালের সদস্য বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ। রায়ের সর্বশেষ অংশ অর্থাৎ আসামিদের বিরুদ্ধে কার কি দণ্ড সেটি পাঠ করবেন চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদার।

 এসএনআর/এফএইচ/এসইউজে/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।