হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় শুনেই সেজদায় লুটিয়ে পড়লেন অনেকে

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:৩৯ পিএম, ১৭ নভেম্বর ২০২৫
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে সেজদায় লুটিয়ে পড়েন ছাত্র-জনতা

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দিয়ে রায় ঘোষণা করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এই রায়ের খবরের পরই ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে সেজদায় লুটিয়ে পড়েন ছাত্র-জনতা। কিছু ছাত্রের সেজদায় লুটিয়ে পড়ার দৃশ্য দেখে একে একে অন্যরাও সেজদায় লুটিয়ে সৃষ্টিকর্তার প্রতি প্রশংসা করেন।

সেজদায় পর দোয়া ও মোনাজাত করেন তারা। এসময় জুলাই আন্দোলনে শহীদদের জন্য জান্নাতুল ফেরদৌস কামনা ও আহতদের সুস্থতার জন্য দোয়া কামনা করা হয়। এরপর আবারও স্লোগানে স্লোগানে শেখ হাসিনার কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ জানান ছাত্র-জনতা।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। প্যানেলের অন্য সদস্যরা হলেন বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় শুনেই সেজদায় লুটিয়ে পড়লেন অনেকে

রায় ঘোষণার খবর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে এলাকায় শুরু হয় উল্লাস। আনন্দ মিছিল নিয়ে স্লোগান দেন ছাত্র-জনতা। তাদের মুখে শোনা যায়—‘লীগ ধর, জেলে ভর’, ‘এ মুহূর্তে খবর এলো—খুনি হাসিনার ফাঁসি হলো।’

এর আগে রায় ঘোষণার দিন সকাল থেকেই ধানমন্ডি ৩২-এ টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছিল। কয়েক দফা মুখোমুখি অবস্থান নেয় ছাত্র-জনতা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সংঘর্ষ, টিয়ারশেল ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের পর পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকায়।

গত বৃহস্পতিবার এ মামলার রায় ঘোষণার জন্য ১৭ নভেম্বর দিন ধার্য করেছিলেন ট্রাইব্যুনাল। মামলায় শেখ হাসিনার পাশাপাশি আসামি ছিলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন। আসামিদের মধ্যে চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন পরে রাষ্ট্রপক্ষের রাজসাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেন এবং নিজের দায় স্বীকার করেন।

ইএআর/এমআইএইচএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।