ওসমান হাদিকে গুলি

হামলাকারীদের নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, ‘সবকিছু এখানে বলা যাবে না’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:০৬ পিএম, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫
সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী/ছবি: জাগো নিউজ

ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে গুলির ঘটনায় সন্দেহভাজন দুজনের বর্তমান অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন এড়িয়ে গেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেছেন, সবকিছু এখানে বলা যাবে না।

সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে উপদেষ্টা এ কথা বলেন। এর আগে সচিবালয়ে তার কার্যালয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) একটি প্রতিনিধিদল হামলাকারীদের গ্রেফতারসহ তিন দাবিতে লিখিত আবেদন জমা দেয়।

পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। এসময় হাদিকে গুলির ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিরা কীভাবে ভারতে পালিয়ে গেলেন তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা পরে কথা বলবো।’ অভিযুক্তরা দেশে আছেন না বিদেশে পালিয়ে গেছেন, এ বিষয়টি দেশের মানুষ এখন জানতে চাচ্ছেন- এমন কথা উল্লেখ করলে তিনি বলেন, ‘সবকিছু তো এখানে বলা যাবে না।’

হাদির ওপর হামলার বিচারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের প্রতিটি দাবি যৌক্তিক উল্লেখ করে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘গতকাল মিটিংয়েও আমরা বলেছি, এগুলো বেগবান করতে হবে। এই যৌক্তিক দাবিগুলো অবশ্যই অবশ্যই বাস্তবায়ন করবো।’

তিনি আরও বলেন, ‘ওসমান হাদি অসুস্থ। আপনারা তার জন্য দোয়া করবেন। তিনি যেন আবার সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসতে পারেন।’

অভিযোগ রয়েছে, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র হাদিকে গুলি করেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান এবং তার সহযোগী ছিলেন মোটরসাইকেলচালক আলমগীর। তারা এরই মধ্যে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার ভুটিয়াপাড়া সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে গেছেন বলে জানা গেছে।

একটি সূত্র জানায়, ঘটনার পরপরই দুজন একটি প্রাইভেটকারে করে মিরপুর, আশুলিয়া ও গাজীপুর হয়ে ময়মনসিংহে ঢোকেন। সেখানে প্রাইভেটকার পালটে আরেকটি প্রাইভেটকার নিয়ে ধারাবাজার পেট্রোল পাম্পে পৌঁছান। সেখান থেকে স্থানীয় এক ব্যক্তি তাদের মোটরসাইকেলযোগে ভুটিয়াপাড়া সীমান্তে নিয়ে যান। সীমান্ত পার হওয়ার পর আরেকজন তাদের রিসিভ করেন। মোটরসাইকেলচালক স্থানীয় ওই ব্যক্তিকে এখনো আটক করতে পারেনি পুলিশ। তবে ঘটনার সময় সেই সীমান্ত এলাকায় অবস্থান করা অন্য যে দুজন ছিলেন তাদের আটক করেছে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

এদিকে, উন্নত চিকিৎসার জন্য হাদিকে নিয়ে সোমবার দুপুর ১টা ৫৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে উড্ডয়ন করেছে একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স। এর আগে দুপুর ১টা ১০ মিনিটে এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে বিমানবন্দরের পথে রওনা দেয় হাদিকে বহন করা অ্যাম্বুলেন্স। এটি বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেট দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে। একপর্যায়ে দেড়টার দিকে তাকে অ্যাম্বুলেন্স থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তোলা হয়।

হাদির সঙ্গে সিঙ্গাপুরে যাচ্ছেন তার ভাই ওমর বিন হাদি এবং বন্ধু ও রাজনৈতিক সহযোদ্ধা আমিনুল হাসান ফয়সাল।

গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকার বিজয়নগর এলাকায় গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর হাদিকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। তারপর থেকে সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।

টিটি/একিউএফ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।