পিরোজপুরে ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাব শুরু

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি পিরোজপুর
প্রকাশিত: ০৯:০৭ পিএম, ০২ মে ২০১৯

উপকূলীয় জেলা পিরোজপুরে ইতোমধ্যে ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাব শুরু হয়েছে। ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেয়ার পর বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত পিরোজপুরের আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। আগের তুলনায় নদীতে পানির উচ্চতাও বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সঙ্গে নদী তীরবর্তী চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের মানুষদের সাইক্লোন শেল্টারগুলোতে আশ্রয় নিতে মাইকিং করা হয়েছে। এরই মধ্যে নিম্নাঞ্চলের মানুষদের সাইক্লোন শেল্টারে নেয়া হয়েছে।

এ ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতির পরিমাণ যাতে কমানো যায় সেজন্য জেলা প্রশাসক আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার দুপুর ও বিকেলে জরুরি দুটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সভায় পিরোজপুর পৌর এলাকাসহ উপজেলা পর্যায়ে মাইকিং করে ঘূর্ণিঝড়ের বিপদ সংকেত প্রচার, জেলার সব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল, রেডক্রিসেন্ট-সিপিপি স্বেচ্ছাসেবকদের সক্রিয়করণ, পর্যাপ্ত শুকনা খাবার ও প্রয়োজনীয় ওষুধ মজুত রাখা, ফিসিং ট্রলার ও জেলেদের উপকূলবর্তী নিরাপদ স্থানে রাখাসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

Pirojpur-Picture-(2)

এছাড়া ৬৫টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখার পাশাপাশি জেলাসহ সাতটি উপজেলায় আটটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ২২২টি সাইক্লোন শেল্টার।

জেলা প্রশাসন আয়োজিত সভায় উপস্থিত ছিলেন- সিভিল সার্জন, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সরকারি কর্মকর্তা ও সাংবাদিকসহ জেলা উন্নয়ন কমিটির সদস্যরা।

এছাড়া দুর্যোগ পরবর্তী সময় মোকাবিলার জন্য দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে ২০০ টন চাল, ২ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার ও ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ পেয়েছে জেলা প্রশাসন। জনসাধারণকে সচেতন করার জন্য তথ্য অফিস ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে বলেও জানান জেলা প্রশাসক আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন।

এদিকে, জেলার সব উপজেলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি সভা করে প্রস্তুতি নিয়েছে। বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জেলা প্রশাসকসহ পিরোজপুর জেলার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দুর্যোগ মোকাবিলায় সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।

Pirojpur-Picture-(3)

তবে ঘূর্ণিঝড় ফণীর ভয়াবহতা সম্পর্কে অবগত নয় জেলার পাড়েরহাট মৎস্যবন্দরের মৎস্যজীবী সাধারণ মানুষ। তারা জানান, দুর্যোগকালীন সময় মোকাবিলার জন্য এলাকায় পর্যাপ্ত সাইক্লোন শেল্টার নেই। কোনো প্রচারণাও নেই। নিজেদের উদ্যোগে প্রচারণা চালাচ্ছেন তারা।

এছাড়া ঘূর্ণিঝড় ফণীর খবর পাওয়ার পরই সাগর থেকে ফিরে এসেছে অধিকাংশ মাছ ধরার ট্রলার। তবে এখনো কিছু কিছু ট্রলার ফিরে না আসায় আতঙ্কে রয়েছে ট্রলার মালিকরা।

এএম/এমকেএইচ

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।