‘চরম আতঙ্কে আছি, জানি না কী হবে’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:০৫ এএম, ০৩ মে ২০১৯

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ফণী নিয়ে সঙ্কিত হয়ে পড়েছেন ভারত-বাংলাদেশে দুই দেশের মানুষ। ফণীর আঘাত থেকে বাঁচতে ইতোমধ্যেই জারি হয়েছে উচ্চ সতর্কতা। মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। দুই দেশের সরকার আগাম সতর্কতা হিসেবে নিয়েছে একাধিক পদক্ষেপ।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের এক বাসিন্দা এমন পরিস্থিতিতে নিজের অবস্থা সম্পর্কে বলছেন, হঠাৎ করেই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে সমুদ্র। বিশাল বিশাল ঢেউগুলো আছড়ে পড়ছে সৈকতে। তার সাথে তীব্র গর্জন। সাগরপারের মানুষগুলো এক হাত দূরে দাঁড়ানো কারও কথা স্পষ্ট শুনতে পাচ্ছে না।

কাজের সূত্রে আজ থেকে ৩০ বছর আগে পুরীতে আসা। সেই থেকে এখানেই আছি। এর আগেও অনেক ঝড় আছড়ে পড়েছে ওড়িশায়। গত বছরের অক্টোবরে যখন তিতলি আসে, তখনো পুরীতে ছিলাম। সে বীভৎসতা নিজের চোখে দেখেছি। কিন্তু ফণীর ফণা তার চেয়েও ভয়ঙ্কর হবে বলে টের পাচ্ছি।

আরও পড়ুন>> ফণীর কাছে তল পাচ্ছে না ভারতের যুদ্ধজাহাজ

বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই মেঘে ঢেকে রয়েছে আকাশ। ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টিও শুরু হয়েছে সকাল থেকে। অন্য দিন এমন সময় গমগম করে সমুদ্র সৈকত। ভোর থেকেই পর্যটকেরা সমুদ্রস্নানে নেমে পড়েন।

আজ সৈকতের কাছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এবং পুলিশের টহল চলছে। কোনো পর্যটককে সমুদ্রে নামতে দেয়া হচ্ছে না। মাইক দিয়ে প্রচার করে তাদের ১২ টার মধ্যেই সব হোটেল খালি করে দেয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে মৎস্যজীবীদের।

আরও পড়ুন>> ফণী আতঙ্কের মধ্যে প্রবল ভূমিকম্প সতর্কতা জারি

পর্যটকদের জন্য বিশেষ তিনটি ট্রেনের পাশাপাশি বিশেষ বাসের ব্যবস্থা করেছে ওড়িশা সরকার। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে ৪০ থেকে ৪৫টা বাসে পর্যটকদের কলকাতায় ফেরানো শুরু হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি, প্রাণহানি রুখতে যথাসম্ভব তৎপর ওড়িশা সরকার।

তবে প্রশাসন তৎপর হলেও সমুদ্রের একেবারে কাছে বসবাসকারী সব মানুষ আতঙ্কে আছেন। তারা জানে না কী ঘটতে যাচ্ছে। প্রবল শক্তিশালী এই ঘূর্ণিঝড়ের কথা জানার পর থেকে কলকাতার বসবাসরত স্বজনরা ফোন করে খোঁজ নিচ্ছেন। এমতাবস্থায় কখন কী হয় বলা যাচ্ছে না।

এসএ

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।