পানির উচ্চতা নিয়ে চিন্তিত সাগরপাড়ের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি পটুয়াখালী
প্রকাশিত: ০৯:৪৭ এএম, ০৩ মে ২০১৯

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ফণী উপকূলের খুব কাছাকাছি চলে এসেছে। সমুদ্র পাড়ের ব্যবসায়ীরা বলছেন, সিডরের পর আর কোনো ঘূর্ণিঝড় তাদের তেমন ক্ষতি করতে পারেনি। তবে ফণীতে পানির উচ্চতা বৃদ্ধির আশঙ্কায় শঙ্কিত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।

সমুদ্র পাড়ের ব্যবসায়ী শহীদ ও মিজানুর রহমান নোমান জানান, ঘূর্ণিঝড়টি অনেক বড় মাপের, বৃহস্পতিবার দোকানের কিছু মালামাল গুছিয়ে রেখেছি, আজ আবহাওয়া দেখে পরবর্তী ব্যবস্থা নেব।

তারা আরও জানান, বৃহস্পতিবার অনেক পর্যটক কুয়াকাটায় এসেছিল, বিকেলে মাইকিং শুরু হওয়ার পর থেকে তারা চলে গেছেন। পর্যটক না থাকায় রাতে অলস সময় পার করেছি।

কুয়াকাটার শুটকি ব্যবসায়ী রফিক খান জানান, অনেক ঝড় গেছে, আমরা পানি উঠতে দেখি নাই। তবে ১২ বছর আগে সিডরে পানি ওঠায় অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল।

তিনি আরও জানান, ফণীতে বেড়িবাঁধের ওপরে পানি উঠে গেলে অনেক ক্ষতিতে পড়বে ব্যবসায়ীরা। তবে মাইকিং হওয়ার পর কিছু মালামাল সরিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

এদিকে পটুয়াখালীর আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক মো. রাহাত হোসেন জানান, রাত ৯টার আপডেট তথ্য মতে, ঘূর্ণিঝড় ফণী পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ৮৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৮২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।

তিনি আরও জানান, পায়রা ও মোংলা সমুদ্র বন্দরে বর্তমানে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। যেহেতু মূল ঘূর্ণিঝড় এদিকে আসবে না, সেহেতু মহাবিপদ সংকেতের দিকে যাবে না।

মহিব্বুল্লাহ্ চৌধুরী/এফএ/এমকেএইচ

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।