কিয়েভের রেলস্টেশনে উপচেপড়া ভিড়, আশ্রয়ের খোঁজে ছুটছে মানুষ

মনিরুজ্জামান উজ্জ্বল
মনিরুজ্জামান উজ্জ্বল মনিরুজ্জামান উজ্জ্বল , বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৭:৫০ পিএম, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২

ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের রেলস্টেশনে উপচেপড়া ভিড়। সবার চোখে-মুখে আতঙ্ক। নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে পোল্যান্ড সীমান্তে যেতে ঘর ছেড়েছেন হাজার হাজার নারী, পুরুষ ও শিশু।

রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণ শুরুর পর কিয়েভের বিভিন্ন শহর থেকে প্রাণভয়ে বাড়িঘর ফেলে নিরাপদ আশ্রয়ে ছুটছে মানুষ। একসঙ্গে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে আসায় গাড়ি ও বাসের সংকট দেখা দিয়েছে। ন্যুনতম প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ব্যাগে গুছিয়ে অসংখ্য মানুষ পায়ে হেঁটে রেলস্টেশনে ছুটছেন।

১৫ মিনিটের পথ পায়ে হেঁটে আসতে তিন-চার ঘণ্টা লেগে যাচ্ছে। যুদ্ধাক্রান্ত হওয়ায় ট্রেন স্টেশন থেকে পোল্যান্ড সীমান্ত পর্যন্ত ট্রেনের যাত্রীদের বিনা ভাড়ায় পৌঁছে দিচ্ছে। কিন্তু ট্রেনের সংখ্যার তুলনায় মানুষের ভিড় বেশি হওয়ায় অনেকেই ভিড় ঠেলে ট্রেনে উঠতে পারছেন না।

jagonews24

তাদেরই একজন চাঁদপুরের নাসিরপুর গ্রামের বাসিন্দা মামুন হোসেন। বর্তমানে তিনি ইউক্রেনের কিয়েভ শহরের বাসিন্দা। শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টায় (কিয়েভের স্থানীয় সময় দুপুর ২টা) তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘এ মুহূর্তে আমি কিয়েভের রেলস্টেশনে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছি। ট্রেনে উঠতে পারছি না, প্রচুর ভিড়।’

মামুন হোসেন বলেন, স্থানীয় সময় সকাল ৭টার দিকে আমি বাসা থেকে স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে বের হয়েছি। বাইরে বেরিয়ে দেখি- গাড়ি ও বাস কিছুই নেই। বাসা থেকে কিয়েভের রেলস্টেশনের দূরত্ব মাত্র ১৫ কিলোমিটার। এ পথটুকু পাড়ি দিয়ে স্টেশনে পৌঁছাতে তিন ঘণ্টা লেগেছে। স্ত্রী ও সন্তানসহ ব্যবহার্য জিনিসপত্র নিয়ে পায়ে হেঁটে স্টেশনে আসতে হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ‘রাস্তাঘাটে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। হাজার হাজার মানুষ পোল্যান্ড সীমান্তের দিকে রওনা দিতে রেলস্টেশনে ছুটছেন। সরকার ট্রেন চলাচল ফ্রি করে দিয়েছে। কিন্তু ভিড় বেশি হওয়ায় ট্রেনে উঠতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।’

jagonews24

স্থানীয় সময় দুপুর আড়াইটায় চেরকাছির বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, পরিবার-পরিজন নিয়ে খুবই আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি। ব্যাগপত্র গুছিয়ে রেখেছি, এখন খাওয়া-দাওয়া করছি। কিছুক্ষণের মধ্যে পোল্যান্ডের পথে রওনা করবো।’

তিনি আরও বলেন, ‘রাস্তায় প্রচণ্ড যানজট। এক বন্ধু গাড়িতে করে পৌঁছে দেবেন বলে জানিয়েছেন। রাত ১০টা থেকে কারফিউ শুরু হয়ে সকাল ৬টা পর্যন্ত চলবে। রওনা করার পর পথেই কারফিউ শুরু হলে, সেখানেই থাকতে হবে।’

এমইউ/এএএইচ/এএসএম

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।